পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গ-সমাজের রূপান্তর ও নিরক্ষরের অধিকার ○ ゲ○ প্রদান করিবার স্বত্রপাত করিয়াছে। এখনও চাষ আবাদই এই সকল আদিম জাতির প্রধান পেশা দেখিতে পাই। কিন্তু হাতের কাজ, কুটার শিল্পও কিছু কিছু করিয় তাহদের ভাবে আসিতেছে। এই সকল আর্থিক অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে আদিম জাতিগুলি বাঙ্গালী হিন্দু এবং মুসলমানের অলিতে গলিতে তাডড গাড়িয়া বসিতেছে । ইতাদের অনেকেই আজকাল বাঙ্গালী হিন্দু-সমাজের ধরণধারণ আচার-সংস্কার ইত্যাদি কিছু কিছু গ্রহণ করিতেছে । তাঙ্গাদের ভিতর কেহ কেহ বোধ হয় মুসলমান-ভাবাপন্নও হইতেছে। প্ররত প্রস্তাবে চাষ আবাদ চালানে, গরুর গাডা হাকানো, কৰ্ম্মকারের কাজ করা, চাটাঠ বোনা ইত্যাদি আর্থিক কাজে নিযুক্ত থাকার ফলে আদিম জাতির সঙ্গে বাঙ্গালী হিন্দু-মুসলমানের মেলামেশা হামেশা নিবিড়রূপেই সাধিত হইয়া থাকে। এইরূপ আর্থিক আদান-প্রদানের প্রভাবে সমাজ আপনা-আপনিই এমন কি অনেকট অজ্ঞাতসারেও বদলাইয়া মাহতেছে । আদিম জাতির প্রভাব বাঙ্গালী সমাজে মুসলমান শক্তির অথবা অনুচ্চ হিন্দু শক্তির সমান এখনও নয়। কিন্তু আদিম জাতিগুলি আর্থিক জীবনের নিম্নতম স্তরে সুরু করিয়া বাঙ্গালী জাতির গোড়াটা পাকড়াও করিয়া বসিতেছে । তাহার ফলে অনতিদূর ভবিষ্ণুতে যে বাঙ্গালী জাতি দেখিতে পাইব তাহার ভিতর এই সকল আদিম জাতির দান খুব উঁচু স্থানই অধিকার করিবে । এই ধরণের আদিম জাতির নাম নানা জেলায় নানারূপ । তাহাদের প্রত্যেকেরই আচার ব্যবহার ও রীতি নীতি সম্প্রতি আলোচন৷ করিবার প্রয়োজন নাই। নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তনে যাহার মোতায়েন আছেন তাহাদিগকে এই সকল জাতির ঠিকুজা কুষ্ঠা, আচার ব্যবহার, জীবনের গতি ভঙ্গ সবই পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে আলোচনা করিয়া দেখিতে হইবে । তাহারা আমাদের খনিতে মজুরের কাজ করিতেছে, কারখানায়