পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○b"8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন মজুর যোগাইতেছে, চাষ আবাদ শুরু করিয়াছে, গাড়ী ইকাইতেছে, নৌকা চালাইতেছে, মাল বহিতেছে। কোন কোন স্থানে ছোটখাট দোকান দারীতেও তাহারা বহাল আছে। এই সকল অবাঙ্গালী জাতিকে আর কতদিন ধরিয়া আমর। অবাঙ্গালী বলিব তাহা বলা কঠিন । কিন্তু এই ধরণের বহুসংখ্যক আদিম পাৰ্ব্বত্য এবং বন্য জাতি ইতিমধ্যেই অনেকাংশে বাঙ্গালীতে পরিণত হইয়াছে । আর অল্পকালের ভিতরেই এই ধরণের অবাঙ্গালীকে বাঙ্গালীতে রূপান্তরিত করার প্রভাব নানা কৰ্ম্মক্ষেত্রেই অনেক কিছু দেখিতে পাইব । గ్యా స్కౌL بسعة ميسي" বৃহত্তর বঙ্গ আর্থিক কৰ্ম্মক্ষেত্রে বাঙ্গালা হিন্দু-মুসলমানের সঙ্গে মেলামেশার ফলে এই সকল আদিম জাতি একটু একটু করিয়া বাংলা ভাষা ইতিমধ্যেই দখল করিয়া বসিয়াছে । বাংলাভাষী নরনারীর ভিতর এই ধরণের অবাঙ্গালী পাহাড়া নরনারীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়িতেছে, ভবিষ্যতে আরও বাড়িয়া যাইবে । সঙ্গে সঙ্গে বাঙ্গালী ধরণে কাপড় শাড়ী পরা, বাঙ্গালীর ব্রতানুষ্ঠানে যোগ দেওয়া, বাঙ্গালীর মাত্রাগানে মাতোয়ারা হওয়া, বাঙ্গালীর সেজন্ত শিষ্টাচার একটু একটু করিয়া রপ্ত করা এ সবই সাওতাল গারে ইত্যাদি অবাঙ্গালী জাতির মগজে এবং ধাতে বসিয়া যাইতেছে । আগেই বলিয়াছি কেহ হিন্দু ভাবাপন্ন হইতেছে, কেহ বা মুসলমান ভাবাপন্ন হইতেছে । এক কথায় বলিব যে, বাঙ্গালী সভ্যতা, বাঙ্গালী উৎকর্ষ, বাঙ্গালী কৃষ্টি সবই নতুন নতুন জাতের ভিতর দিগ বিজয় করিতেছে। বহু সংখ্যক আদিম জাতীয় নরনারীকে নিজ আওতার ভিতর পাইয়া বাঙ্গালী সভ্যতা বৃহত্তর হইয়া উঠিতেছে। আমরা বাংলা দেশের ভৌগোলিক চৌহদির ভিতর ইতিমধ্যেই একটা "বৃহত্তর বঙ্গ” গড়িয়া তুলিমাছি।