পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৯০

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন سC)brb\ స్మా اس + مے ہ“ حمد” SS S SSAS SSAS SSASAS SS SAAAA AAAAe TA C S SS S SSAAA SS S SAAAS AAAAA AAAAA S eeS SeeSAAA JJcS A S A S A S A S A S A S A SAAAAS AAAAAS স্বদেশ-সেবকের নতুন অভিজ্ঞতা এই ধরণের কাজে ইতিমধ্যেই অনেক বাঙ্গালী নামিয়াছে। তাহারা বাংলা দেশের জেলায় জেলায় অবাঙ্গালীর সঙ্গে মিশিয়াছে, অহিন্দুর সঙ্গে মিশিয়াছে, অমুসলমানের সঙ্গে মিশিয়াছে, অস্পৃশু এবং অনুচ্চ শ্রেণীর নরনারীর সঙ্গেও আনাগোনা করিয়াছে। এই ধরণের রাষ্ট্রসেবক, সমাজসেবক, স্বদেশব্রতধারী কৰ্ম্মীর সংখ্যা যতবেশী হওয়া উচিত বোধ হয় এখনও তত বেশী হয় নাই । কিন্তু তাহা সত্ত্বেও তাহাদের অভিজ্ঞতা গুলি একালের সাৰ্ব্বজনিক জীবনে একটা নতুন সম্পদ। ১৯০৫ সনের যুগে আমরা এই সকল নতুন নতুন শ্রেণীর নরনারীর জীবন সম্বন্ধে, কৰ্ম্ম সম্বন্ধে, আর্থিক অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে সামাজিক লেনদেন ইত্যাদি সম্বন্ধে প্রায় এক প্রকার কিছুই জানিতাম না। বিগত ছাব্বিশ সাতাশ বৎসরের ভিতর আমাদের স্বদেশসেবকেরা এই সকল নরনারীর সঙ্গে মিশিবার ফলে একটা নয়। বাংলার সাক্ষাৎ পাইয়াছে। তাহার এই সকল নতুন নতুন লোকজনকে সনাতন বাংলার হিন্দু মুসলমানের সমকক্ষ অথবা জুড়িদাররূপেও দেখিবার সুযোগ পাইয়াছে। তাহাদের বিবেচনায় সাওতাল রাজবংশী ডোম ইত্যাদি জাতি বাঙ্গালী সমাজে আর নগন্য নয়। তাহার। দেখিয়াছে যে নমঃশুদ্র বারুই পোদ ইত্যাদি জাতীয় নরনারীর ভিতর তথাকথিত উচ্চতর শ্রেণীর নরনারীর সু-কু সবই বিরাজ করিতেছে। তাহারা দেখিয়াছে যে, মুসলমানের কৃতিত্ব বাঙ্গালী সমাজে হিন্দুদের কৃতিত্বেরই অমুরূপ। এই সকল অভিজ্ঞতার মূল্য ঢের। আমি এগুলিকে অন্যান্য আবিষ্কারের মতনই গৌরবজনক আবিষ্কার বিবেচনা করি। এই ধরণের আনাগোনার ফলে বাংলার বিভিন্ন শ্রেণীর চরিত্র সম্বন্ধে আমাদের অনেক নতুন জ্ঞান জন্মিয়াছে।