পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গ-সমাজের রূপান্তর ও নিরক্ষরের অধিকার 'Ebrసి যাহারা মজুরদের সঙ্গে মজুর-সঙ্ঘ গড়িয়া তুলিতেছে অথবা অন্যান্য উপায়ে মজুর আন্দোলনে সাহায্য করিতেছে তাহাদের অভিজ্ঞত৷ এই তরফ হইতে বিশেষ মূল্যবান। আমাদের ভিতর যাহারা সমবায় আন্দোলনের পরিদর্শকরূপে বহাল আছে তাহার। আমাদের চাষী সমাজের নাড়ী নক্ষত্র ভালরূপে জানে। আমাদের ভিতর যাহার। হিন্দু মিশন সংক্রান্ত কাজে মোতায়েন আছে তাহাদের ভিতর অস্পৃষ্ঠ ও অতিন্দ সমান "* কথাই আত্মপ্রকাশ করিয়াছে। অর্থাৎ আমাদের সাধারণ গল্প-লেখক, ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক অথবা অন্যান্ত গ্রন্থকার ইত্যাদি শ্রেণীর লোক বাংল দেশের যে সকল তথ্য সম্বন্ধে নেহাৎ আনাড়ি সেই সকল তথ্যও এই সকল স্বদেশসেবকদের অভিজ্ঞতার ভিতর জ্ঞাতসারে অথবা অজ্ঞাতসারে আসিয়া পড়িয়াছে । অপূৰ্ব্ব আবিষ্কার এই সকল অভিজ্ঞতার ভিতর যে সত্যটা খুব বড় রূপে পাকড়াও করিতে পারি তাহা এই যে, বাঙ্গালী জাতির উচ্চতর স্তরে যে সকল হিন্দু ও মুসলমান লেখা পড়া শিখিয়াছে, দুই পয়সা রোজগার করিয়া সমাজে গণ্য মান্ত হইয়াছে তাহাদের তুলনায় এই সকল নগন্ত নিরক্ষর নিম্নশ্রেণীর লক্ষ লক্ষ হিন্দু মুসলমান ও আদিম নরনারীরা বাস্তবিক পক্ষে নিকৃষ্ট নয়। খাদে যে সকল লোক কাজ করে, রেলওয়ে ষ্টীমারের কুলী ও খালাসীরা, চা বাগানের কুলীর, ফ্যাক্টরী-কারখানার মজুরেরা আর পল্লীগ্রামের কৃষাণ নরনারী বাঙ্গালী জাতির শতকরা আশি পচাশি জন। ইহার ংলা দেশের কোনো কৰ্ম্মক্ষেত্রেই মাথা খাড়া করিয়া কাজ করে না। তাহারা সোজা সুজি ডুবিয়া রহিয়াছে। কিন্তু এই সকল ডুব-মারা বাঙ্গালী নরনারী পয়সাওয়াল, নামজাদ, লিখিয়ে-পড়িয়ে উচ্চপদস্থ হিন্দু