পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○s o নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন

  • ్మ

মুসলমানের চেয়ে খাটাে নয়। একথাটা বিগত পচিশ বৎসরের অভিজ্ঞতা - ச بی حس حسی یا ع গুলার ভিতর অন্যতম বড় অভিজ্ঞতা । নিরক্ষরকে অশিক্ষিত্ত বলা চলে ন৷ কথাটী পুসি। নিশাৰ কবিয়া বলা আবখ্যক । নিরক্ষর নরনারীর কথ। বলিতেছি । নিরক্ষর শব্দে বুঝিতে হইবে অতি লোভ। কথ। । লোকগুলি লিখিতেও পারে না পড়িতেও পারে না। কিন্তু নিরক্ষর বলিলে তামি লোকগুলিকে অশিক্ষিত বলি ন| নিরক্ষর লোকেরাও বেশ শিক্ষিত হইতে পারে । বস্তুতঃ আমার বিবেচনায় পৃথিবীতে অশিক্ষিত কোনো লোক আছে কিন। সন্দেহ । যে লোক বেত বুনিয়া টুক্‌রী তৈরী করে তাহার মগজে কিছু ন কিছু ধী আছেই আছে। যে লোক দিনের পর দিন নিয়মিতরূপে হাল চালায়, বলদ সেব করে, গাড়ী চাকায়, নেক বহে সে লোক হয়ত লিখিতে পড়িতে পারে না । কিন্তু তাহার মগজও আছে আর সেই মগজের ভিতর চিন্ত| করিবার শক্তিও তাছে। এইরূপ বলা যাইতে পারে যে, কাজ করিতে করিতে প্রত্যেক লোকই, সে যত বড় নিরক্ষর হউক না কেন, দিনের পর দিন তাহার মগজ চষিয় যাইতেছে। কাজের ১ ঙ্গে সংস্পর্শে মগজ চষার ফলে তাহার জ্ঞান বাড়িতেছে। প্রতি মুহুর্তে সে সজ্ঞানে সজাগ ভাবে মাথ। খেলাইয়া জীবন ধারণ করিতেছে। কাজেই বাংলা দেশের যে সকল নরনারী এখনও লিখিতে পড়িতে পারে না তাহাদিগকেও আমি শিক্ষিত জ্ঞানী চিন্তাশীল ও মস্তিষ্কজীবী নরনারীর ভিতর গণ্য করিতে অভ্যস্ত । লেখাপড়া জিনিষটা পৃথিবীতে মাত্র সেদিন আবিষ্কৃত হইয়াছে । আমি "সাৰ্ব্বজনিক” লেখাপড়ার কথা বলিতেছি । পচাত্তর কি শ’ দেড়শ’