পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গ-সমাজের রূপান্তর ও নিরক্ষরের অধিকার ○s জোরের সহিত কথা বলিতে হইতেছে। ইয়োরামেরিকায় ও এশিয়ায় আর সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় লোকের মাথায় একটা ধারণ প্রবিষ্ট হইয়াছে যে, লেখাপড় না শিখিলে মানুষ সমাজের কার্যক্ষম অঙ্গ হইতে পারে না। অতএব লেখাপড় ন শিখিলে কোনে মানুষকে রাষ্ট্রক জীব বিবেচনা করা উচিত নয়। আমি দেখিতেছি যে, মামুনের মতন কাজ করিতে হইলে যে ধরণের মাথা থাকা দরকার, যে ধরণের কত্তব্যবোধ থাকা দরকার, যে ধরণের চরিত্রবত্তা থাকা দরকার তাহ নিরক্ষর লোকেরও প্রচুর পরিমাণেই আছে । সুতরাং সকল কৰ্ম্মক্ষেত্রেই নিরক্ষরের অধিকার প্রচার করা আমার নিকট সমাজ-শাস্ত্রের প্রথম স্বীকাৰ্য্য। আমাদের চোখের সম্মুখে বিগত সিকি শতাব্দীর ভিতর যে এক নয়। বাংলা গড়িয়া উঠিয়াছে সেই নয়া বাংলার অন্যতম আধ্যাত্মিক ভিত্তিই আমি এই স্বাকার্য্যের ভিতর আবিষ্কার করিতেছি । লোকগুলি সাওতাল হউক, রাজবংশী হউক, গারে হউক, পাহাড়ী হউক, অস্পৃশ্য হউক, চণ্ডাল হউক, ডোম হউক, হাড়ি হউক, চাষী হউক, মিস্ত্রী হউক, মজুর হউক তাহারা নিরক্ষর বলিয়াই—একমাত্র এই কারণে লিখিয়ে-পড়িয়ে নরনারীর শ্রেণী হইতে কোনো অংশে খাটো নয় । বাঙ্গালা জাতির হাড়মাসে, বাঙ্গালী জাতির ধনদৌলতে, বাঙ্গালী জাতির বাড়তিতে, বাঙ্গালী জাতির শক্তিবিকাশে তাহারা সকলেই লিখিয়ে-পড়িয়ে নরনারীর মতনই কন্মক্ষম এবং গৌরবজনক কৃতিত্বের প্রতিনিধি। এই সকল নিরক্ষরদের বুদ্ধিমত্তা আর কত্তব্যজ্ঞান সম্বন্ধে সজাগ হইয়াই আমাদিগকে বাঙ্গালী জাতির আগামী অধ্যায়ের জন্ত নতুন ধাপ গড়িয়া তুলিতে হইবে। স্বদেশসেবার শক্তিযোগে যুবক বাংলার যে সকল নরনারী বাহাল আছেন তাহারা নিরক্ষরের সকল প্রকার অধিকার সম্বন্ধে টন্‌ট্ৰন্তে জ্ঞান হাতের মুঠার ভিতর রাখিয়া কৰ্ম্মক্ষেত্রে অগ্রসর হউন। -سہ