পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্ম-প্রতিষ্ঠার সমাজশাস্ত্র সমীপবৰ্ত্তী ভবিষ্যতের বাঙালী “আর্থিক উন্নতি” সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করিল (বৈশাখ ১৩৩৯ । বিগত ছয় বৎসরে বাঙালী জাতি আত্মপ্রতিষ্ঠার চিন্তায় ও কৰ্ম্মে অনেক দূর অগ্রসর হইয়াছে। চোখের সম্মুখে একটা নবযুগের স্বত্রপাত দেখা যাইতেছে । এই আত্মপ্রতিষ্ঠার ধারা বাড়িয়াই চলিবে বলিয়া বিশ্বাস করিতেছি । বাঙালী জাতি আত্মপ্রতিষ্ঠার দিকে যতই বেশী অগ্রসর হইতে থাকিবে ততই “আর্থিক উন্নতি’র বিভিন্ন অধ্যায়ে প্রচারিত তথ্য ও তত্ত্বগুলার আদর বাঙালী সমাজে বাড়িতে থাকিবে । অধিকন্তু “আর্থিক উন্নতি’র মতন বিভিন্ন নতুন নতুন মাসিক আর অন্যান্য পত্রিকার আবির্ভাবও দেখিতে পাইব । অনেক পাঠকের নিকট হইতে নানা প্রকার প্রশ্ন পাইয়াছি । ইহাতে বুঝিতে পারা যায় যে, কাঠখোট্ট অঙ্কতালিকামূলক পত্রিকার সাহায্যে চিন্তাশীল ও কৰ্ম্মনিষ্ঠ বাঙালীরা নিজের জীবন, ব্যবসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা পুষ্ট করিতে ঝুকিয়াছেন। ইংরেজি, মাকিণ, ইতালিয়ান, ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ ইত্যাদি ধনবিজ্ঞান ও অঙ্করাশি (স্টাটিষ্টিক্স) বিষয়ক বহুসংখ্যক দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও ত্রৈমাসিক পত্রিকা নিংড়াইয়া রস বাহির করা “আর্থিক উন্নতি”র অন্যতম ব্যবসা। বলা বাহুল্য, রসের সঙ্গে সঙ্গে কষও বেশ কিছু—বোধ হয় জবর রূপেই দেখা দেয়। কিন্তু বাংলা দেশে বহুসংখ্যক উচ্চশ্রেণীর ধনবিজ্ঞানদক্ষ,