পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্ম-প্রতিষ্ঠার সমাজশাস্ত্র 8 o X S AAAA S SAAAASAASAASAASAAAS A S A S ee SAAAAA S শিল্পদক্ষ, বাণিজ দক্ষ মানুষ দেখিতে হইলে এই ধরণের কষ-হজম করা নীলকণ্ঠের আডডা কায়েম করিতেই হইবে । সেই দিকেও বাঙ্গালী আস্তে আস্তে অগ্রসর হইতেছে। বাংলা ভাষায় যে উচ্চতম ধনবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান হত্যাদি বিজ্ঞানের গবেষণা চলিতে পারে তাহা সন্দেহ করিবার মতন লোক ক্রমে ক্রমে লোপ পাইতেছে । আর কয়েক বৎসর পরে এইরূপ সন্দেহওয়ালা লোকের টিকি পর্য্যস্ত দেখিতে পাওয়া যাইবে না । “আর্থিক উন্নতি”র পনর বৎসর বয়সে বোধ হয় বাংলা ভাষাই আত্মপ্রতিষ্ঠাশীল, আত্মসম্মানী, আত্মশক্তিনিষ্ঠ বাঙালীমাত্রের সকল প্রকার পঠনপাঠনআলোচনী-গবেষণার বাহন দাড়াইয়া যাহবে । ইতিমধ্যে আবার আড়াহ বৎসর (১৯২৯ মে-১৯৩১ অক্টোবর) বিদেশে কাটাইয়৷ আসিলাম। এই দ্বিতীয়বারকার প্রবাসের অর্থনৈতিক অভিজ্ঞতার অনেক কিছুই “আর্থিক উন্নতি”তে আর দেশের অন্যান্য কাগজেও বাহির হইয়াছে। দেশ ও দুনিয়া জুড়িয়া চলিতেছে আজকাল আর্থিক দুর্য্যোগ। এই দুৰ্য্যোগ-তত্ত্ব "আর্থিক উন্নতি"র নানা সংখ্যায় অনেকবার আলোচিত হইয়াছে। বৰ্ত্তমান দুর্য্যোগ সম্বন্ধেও আমার মতামত প্রকাশ করা গিয়াছে। তবে বাঙালীর আত্মপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় এই সাময়িক দুৰ্য্যোগটাহ একমাত্র অথবা প্রধান কথা নয়। নতুন শাসন প্রণালী কায়েম হইতে চলিল। তাহার আলোচনা এখন আবার কিছু দিন বহু ঠাই অধিকার করিবে। তাহার উপর আছে মজুরের কথা, চাষীর কথা, সাওতালের কথা, নমঃপূদ্রের কথা। দেশ আত্মপ্রতিষ্ঠার দিকে যতই আগাইয়৷ যাইতেছে ততই নতুন নতুন কথা বেশ মোটা আকারে দেখা দিতেছে। বিগত সাত আট মাসের ভিতর এই ধরণের পয়ত্রিশ-চল্লিশটা বিভিন্ন त्रि-२७