পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

rیا؟ আত্ম-প্রতিষ্ঠার সমাজশাস্ত্র 8 o ම් জাতিভেদ কেবল ভারতেই আছে, তাহ নয়। এই ধরণের ভেদজ্ঞান ইয়োরোপেও এককালে ছিল। কামার কামারের মেয়ে ছাড়া বিবাহ করিবে না, কুমোর কুমোরের মেয়ে ছাড়া বিবাহ করিবে না, এক গ্রামের লোক অন্য গ্রামে বিবাহ করিবে না- এই ধরণের রীতি-নীতি ইয়োরোপেও ছিল । আমাদের দেশে যেমন এককালে ধারণা ছিল, সহুর্যে মেয়ে বা হস্কুলে-পড়া মেয়ে ভাল নয়, পাড়াগেয়ে মেয়ের বেশী খাটি, পশ্চিম সমাজেও ঐ ধরণের ধারণ দেখিতে পাওয়া যায়। বিলাতেও অনেকের ধারণা,—লগুনের মেয়ের চেয়ে পাড়াগেয়ে মেয়ে ভাল । একটা সমাজকে বুঝিতে হইলে, সেই সমাজের মধ্যে অন্ততঃ পাচ সাত বৎসর বাস করা দরকার । তাহ ন হইলে সেই সমাজট সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা হওয়া অসম্ভব । ইংরেজের ভারতে অনেক বছর থাকিবার পর যে সকল বই লেখে, তাহার মধ্যে কত আহাম্মুকি থাকে, আর তার জন্য তাহারা গালাগালি খায় কত ! তবে, ইহাও সত্য যে তাহাদের লেখার মধ্যে অনেক খাটি সত্য কথাও পাই । একটা বিষয়ে ইয়োরামেরিকানদের কাছে আমাদের যথেষ্ট শিখিবার আছে । তাহাদের মধ্যে জনকয়েক ফাকিদার হইলেও অনেকে আমাদের দেশটাকে বুঝিবার বা জানিবার জন্য রীতিমত চেষ্টা করিয়াছে। একটা বিজিত দেশকে এতটা বুঝিবার ও জানিবার চেষ্টা বাহাদুরির কথা নয় কি ? অথচ, আমাদের দেশের কয়জন লোক পাশ্চাত্য দুনিয়াকে বুঝিবার জন্য ঠিক ঐ ধরণের চেষ্টা করিয়াছে ? সত্য কথা বলিতে কি, এখন ইয়োরামেরিকাকে আমাদের বিজ্ঞানসন্মত আলোচনার বিষয়-বস্ত করা একান্ত দরকার। অথচ, এদেশের এমন লোকের নামও ত’ বেশী মনে পড়ে না যাহারা পাশ্চাত্য সভ্যতাকে জানিবার ও বুঝিবার জন্য রীতিমত চেষ্টা করিয়াছেন।