পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ما o 8 যেগুলাতে জন্ম-হার হাজার প্রতি ২০ হইতে ৩০ সেগুলা এক শ্রেণীতে, যেগুলার জন্ম-হার ৩০ হইতে ৪০ এর মধ্যে সেগুলা এক শ্রেণীতে, ইত্যাদি রূপে সাজানো সম্ভব । দুনিয়ার প্রায় ৩০ট দেশকে এই হারের পার্থক্য অনুসারে বিভিন্ন শ্রেণীতে ফেলা যাহতে পারে ; ভারতের বিভিন্ন প্রদেশগুলাকেও, ঐ জন্মহারের তারতম্য অনুসারে অন্তান্ত দেশগুলার মত বিভিন্ন শ্রেণীতে ফেলা চলে। কতকগুলা দেশে জন্মের হার হাজার প্রতি ২৫ হইতে ৩০ এর ভিতর । ইহাদের মধ্যে একদিকে ইয়োরোপের হাঙ্গারা, অন্যদিকে আমাদের আসাম পড়ে। এইরূপ শ্রেণীভাগগুলি পর্য্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করিলে দেখা যায় যে, জন্ম-হারের পার্থক্য জাতি, সমাজ, ভৌগোলিক অবস্ত। ব৷ ধৰ্ম্ম-গত বিশ্বাস ইত্যাদিতে পার্থক্যের উপর কোনক্রমেই নির্ভর করে না । অর্থাৎ দুনিয়ার অতিদূরবত্তা, জাতি ও ধৰ্ম্মে অতিশয় বিভিন্ন দুই দেশের মধ্যেও একই প্রকার জন্ম-হার দেখা যাইতে পারে। আবার একই প্রকার জলবায়ু ও ভৌগোলিক অবস্থার মধ্যে থাকিয়াও 2ই দেশের জন্ম-হারে বিষম পার্থক্য ঘটিতে পারে । অঙ্ক-তালিকার সাহায্যে ইহাও প্রতিপন্ন করা যায় যে, জন্মের উচ্চহার কেবল পরাধান জাতিগুলার মধ্যেই নিবদ্ধ নয় । বিহার-উড়িষ্যার যে জন্ম-হার, পোল্যাণ্ড, জাপান ও রুমেনিয়ায়ও সেই জন্ম-হার। আসামের ষে জন্ম-হার, হাঙ্গারী আর ইতালিরও ঠিক সেই জন্ম-হার । সুতরাং স্বাধীন দেশগুলাতেও জন্মের হার উচ্চ থাকিতে পারে । καμαμηuωφ - an--"-" প্রদত্ত হয়। ১৯৩১ সনের সেপ্টেম্বর মাসে রোমে অনুষ্ঠিত “ইন্টার স্কাশন্যাল কংগ্রেস অব পপিউলেশ্যনে”র অন্ততম সভাপতিরূপে তিনি যে বক্তৃত দিয়াছিলেন তাঁহাই বর্তমান বজ তার ভিত্তি । ইতালিয়ান বক্তৃত। প্রায় ১•• পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ। তাহাতে ৯টা ছবি আছে। বক্তৃতাটার সংক্ষিপ্ত মৰ্ম্ম লিপিবদ্ধ করা হইল ।