পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 > ० নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ._پ سے ، جیم যে, দুনিয়ার লোকাধিক্য অন্ত কয়েকটি দেশ যতটা বাড়াইয়া তুলিবে, ভারতের প্রদেশগুলা ততটা তুলিবে না। ভারতের লোকাধিক্য ঘটিয়াছে কিনা, এবিষয়েও দুই এক কথা বলা দরকার । লোকাধিক্য বস্তুটা সম্পূর্ণ আপেক্ষিক। একটা দেশে লোকাধিক্য ঘটিয়াছে কিনা, তাহ বিচার করিবার জন্য, সঙ্গে সঙ্গে সেই দেশে কিরূপ জীবনযাত্র প্রণালী চলিত করা দরকার, তাহার আলোচনা করিতে হইবে । কোনো সংসারে যেমন খাওয়া-পরার মাপকাঠি কমাইয়া, একই আয়ে অধিকসংখ্যক লোক প্রতিপালন করা চলে, তেমনি যে কোনো দেশে খাওয়া-পরার মাপকাঠি কমাইয়া আরও অধিক সংখ্যক লোক পোষা সম্ভব । অপর দিকে, খাওয়া-পরার মাপকাঠি যদি বাড়ানো যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে আয় যদি না বাড়ানো যায়, তাহা হইলে, লোকসংখ্যা না বাড়িলেও, লোকাধিক্য সমস্ত আরও গুরুতররূপে দেখা দিবে। ভারত যদি জাপানী মাপকাঠি অবলম্বন করিতে চায়, তাহ হইলে বওঁমান লোকসংখ্যা পোষা ত সম্ভব নয়ই, বরং তাহার লোকবলকে হয়তে ২০ কোটিতে কমানো দরকার। আবার, যদি জাৰ্ম্মাণ মাপকাঠি আয়ন্ত করিতে চায়, তাহ হইলে লোক সংখ্যা কমাইয়া হয়তে ১০ কোটি করিতে হইবে । মার্কিণ মাপকাঠির জন্য হয়তো লোক-সংখ্যাকে ৬ কোটিতে কমানে দরকার হইবে ইত্যাদি। যাহা হউক, ভারতে মৃত্যু-হার কমিতেছে। সঙ্গে সঙ্গে জন্মের হার তেমন কমিতেছে না । ইহাতে লোকাধিক্য সমস্ত বাড়িয়া যাইবে । ইহা কমাইবার জন্য জন্মের হার কমানে দরকার। জন্মের হার কমাইবার জন্য জন্ম-শাসন, অবিবাহিত থাকা, বিলম্বে বিবাহ করা ইত্যাদি নানা উপায় অবলম্বন করা দরকার। লোক-বৃদ্ধির