পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্ম-প্রতিষ্ঠার সমাজশাস্ত্র 8〉? অ্যাটর্ণি আর জমিদার। ইহা হইতেই বোঝা যায় ব্যবসা-বাণিজ্যে বাঙালীর দৌড় কতটা ! কেহ কেহ বিবেচনা করেন যে, বাংলার চিরস্থায়ী বন্দোবস্তই এই দুৰ্গতির কারণ। এরূপ বুঝিয়া রাখা হয়ত নেহাৎ অন্যায়ও নয়। কেন না, এককালে বড় বড় বাঙালী ব্যবসাদারও ত’ ছিল, কিন্তু র্তাহারা সবাই-ই জমিদার বনিয়া যাইতেছেন। কোনো কোনো বাঙ্গালী কোম্পানী এক সময়ে খুব বড় আমদানি-কারী ছিলেন। কিন্তু এখন তাহাদের ব্যবসা খুবই সামান্ত । র্তাহাদের সম্পত্তি যা কিছু তা কলিকাতার অনেকগুলা বাড়ীতে ও পল্লীগ্রামের জমিদারীতে। উকীল, ব্যারিষ্টার ডাক্তার প্রভৃতি যে সব বাঙালী মোট পয়সা রোজগার করেন, র্তাহারাও তাহাদের রোজগার ব্যবসা-বাণিজ্যে বা কারখানা-শিল্পে খাটান না । র্তাহারাও হয় কোম্পানীর কাগজ না হয় জমিদারী কেনেন। জমিদারী জিনিষটা এত লোভনীয় হইল কেন ? বেশী আগা-পাছা বিবেচনা না করিয়৷ লোকে বলে,--বাংলাদেশে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আছে বলিয়াহ । কাজেই, সহজে বাংলার চিরস্থায়ী বন্দোবস্তকে “আধুনিক” শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ে বাঙালীর অমনোযোগের অন্যতম কারণ হয়ত বলা চলে। তবে, এই ধরণের যুক্তিতে গলদও আছে কম নয়। প্রথমতঃ ভাবিয়া দেখা উচিত যে, ভারতের যে সকল জনপদে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নাই সেই সকল জনপদের সৰ্ব্বত্র “আধুনিক শিল্প-বাণিজ্য” ফুলিয়া উঠিয়াছে এরূপ বলা চলে না। ংলা দেশের উৎপাদনশক্তি বাঙালীকে অনেকদিন ধরিয়া ভূমি-নিষ্ঠ, কৃষিনিষ্ঠ করিয়া রাখিয়াছে। “আধুনিক” ধনদৌলতের নয়া নয়। আকার-প্রকারে হাত মক্স করিবার প্রবৃত্তি হয়ত এই কারণেই গজে নাই। দ্বিতীয়তঃ বাঙালীরা আধুনিক শিল্প ও ব্যবসাবাণিজ্য অপেক্ষা চাষ আবাদে টাকা খাটানো পছন্দ করে, ইহা মানিয়া লওয়া চলে বটে। কিন্তু একটা জাতি যদি