পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8>Wり নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন শিল্প-বাণিজ্যে টাকা না খাটাইয়া জমি-জমাতে টাকা খাটানো বেশী পছন্দ করে, তার ফলে কি সে জাতির কোনে৷ ক্ষতি হয় ? ধরা যাক, গুজরাতীদের কথা । তাহার বোধ হয় খানিকট বাঙালীদের উলটা। তাহাদের টাকা ব্যবসা-বাণিজ্যেই বেশ খাটানো হয়, জমি-জমাতে কম। কিন্তু গুজরাতার জাতকে জাত কি বাঙালী জাতের চেয়ে বেশী ধনী ? কেহ কেহ হয়ত বলিবেন জমিজমায় টাকা খাটানো ততটা বাঞ্ছনীয় না হইবার একটি কারণ আছে । চাষ-আবাদে যে হারে খরচ বাড়ানো হয়, জমিজমা হইতে উৎপাদন ঠিক সেই হারে বাড়ে না, ক্রমশঃ কমিতে থাকে স্বাকার করা গেল যে,—জমিজমায় টাকা খাটাইলে “নিম্নগ আয়ের” নিয়ম কাজ করিবে । কিন্তু, তাহা সত্ত্বেও, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য বাঙালীর আর্থিক ক্ষতি হইতেছে, এটা বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রমাণ করা যায় কি ? এই প্রশ্নটি তলাইয়। মজাইয় আলোচনা করা দরকার । স্থলভাবে দেখিয়া শুনিয়া যতদূর বোঝা যায় তাহাতে মনে হয় যে বাঙালীর খাওয়|পর গুজরাতাদের চেয়ে, অন্ত অনেক প্রদেশের লোকের চেয়ে উচ্চশ্রেণীর জিনিস। জমিজমাতে টাকা খাটানে বাংলার পক্ষে ক্ষতি-জনক যদি বলিতে হয়, সেটা সন্তোষজনক প্রমাণের উপর স্থাপিত করা দরকার । বলা যাইতে পারে যে, বাঙালী ও গুজরাতী চাষীদের ঋণের পরিমাণ মাপিলে এ বিষয়ে একটা ধারণা করা সম্ভব। যদি কৃষির আয়ের উপর আয়-কর থাকিত তাহা হইলে গুজরাতী ও বাঙালীদের কয়জন কি পরিমাণ আয়-কর দেয় তাহার হিসাব হইতেও এই দুই জাতের কোনটার আর্থিক অবস্থা ভাল তাহা বোঝা যাইতে পারিত। কিন্তু, কৃষকের ঋণের পরিমাণ হইতে কোনো সিদ্ধান্তে পৌছানো যায় না। কারণ, যেটা বাঙালী চাষীদের ঋণ, সেটা অন্য কয়েকজন বাঙালীরই