পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্ম-প্রতিষ্ঠার সমাজশাস্ত্র 8>° প্রাপ্য টাকা। ঐ ঋণ থাকার জন্য হয়তো জনকয়েক বেশী ধনী ও অনেকে গরীব, কিন্তু মোটের উপর সমগ্র জাতিটার আর্থিক অবস্থা আলোচনা করিবার সময়, সেই জাতির অন্তর্গত লোকগুলার পরম্পরের কাছে কত দেনা বা পাওনা আছে, তাহা আলোচনা না করিলেও চলে। কৃষকের ঋণ জাতীয় দারিদ্রোর, অর্থাৎ বাঙালীর দারিদ্র্যের চিহ্ন কিনা এই বিষয়টা আলোচ্য। মাড়োয়ারী ও বাঙালী ব্যাঙ্কিং তদন্ত সমিতির অনুসন্ধান সম্পর্কে জানা গিয়াছিল যে, বাংলায় জনকয়েক ছাড়া অধিকাংশ ঋণদাতারাই মাড়োয়ারী অর্থাৎ অ-বাঙালী । মাড়োয়ারী যদিও বাঙালীর মত কাপড় পরে, তার ভাষায় কথা বলে, বাংলাদেশে স্থা চার পুরুষ থাকে, তার পূজা-আচ্ছা, সভা-সমিতির জন্য টাকা দেয়, বড় জোর তাহার ছেলেমেয়ের বিবাহের জন্য কেবল দেশে ছোটে,তাহ হইলে তাহাকে অ-বাঙালী বলিবার কোনো কারণ দেখি না। এই সম্পর্কে একটা কথা বলিয়া রাখি। আমাদের মাড়োয়ারী-বিদ্বেষ বড় বেশী বাড়িতেছে। এটা আর বাড়ানো উচিত নয়। যতক্ষণ প্রফুল্লচন্দ্র বলেন যে মাড়োয়ারীকে দেখিয়া আমাদের শেখা উচিত, ততক্ষণ র্তাহার সঙ্গে আমি একমত। কিন্তু যদি কেহ তাহাদেরকে বয়কট করিবার কথা তুলে তখন আমি তাহার সঙ্গে একমত হইতে পারি না। মাড়োমারীবিদ্বেষ পোষণ করিয়া কেবল ক্ষে আমরা জাতি-হিসাবে নিতান্ত নীচাশ হই ও অপরের কাছে হাস্তাস্পদ হই তাহা নহে, আমাদের নিজেদের স্বার্থের জন্তই ঐরুপ করা একান্ত বোকামি ব্যবসা-বাণিজ্যে অথবা শিল্পে আমাদের উন্নতি করিতে হইলে, আমাদের উঠতে হইবে অনেকাংশে त्रेि-२१