পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্ম-প্রতিষ্ঠার সমাজশাস্ত্র 8) సె S AAAAAA SAee AAAAS AAAAA AAAASAAAAeSAAAAAAS AAAAA AAAAeeAAAA SASA SS SeeeS S SSeSSeSSeSSeeA SAe SAeS ceS eee Se AA KE SSASAS SSAS SAAA aSeSeS S Se EMAAAS AAAA S মাথাওয়াল ম্যানেজার ও এঞ্জিনিয়াররূপে যাহারা কাজ করিতেছে,তাহাদের অধিকাংশই গুজরাতী নয়। মারাঠারা বাঙালীদের মত প্রধানতঃ মস্তিষ্কজীবী জাত । বাংলাদেশে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকট মাড়োয়ারীদের হাতে, বোম্বাইয়ে তেমনি গুজরাতীদের হাতে। বাঙালী ও মারাঠার আর্থিক অবস্থা ও প্রকৃতি এ দিক্ হইতে সমান । বলা যাহতে পারে যে মাড়োয়ারী যেমন সিক্কার ব্যাপার বোঝে বাঙালী তেমন বোঝে না। কিন্তু তাহার জন্য বাঙালীর মস্তিষ্ক যে ছোট তাহ। প্রমাণ হয় না। মাড়োয়ারীর সিক্কা বোঝে কেন ? তার কারণ হইতেছে, তাহার। আমদানি-রপ্তানি করে । সিক্কার একটু এদিৰ ওদিক্‌ হইলেই তাহাদের লাভ-লোকসানের তারতম্য হয়। শিল্প-কারখানার মালিকদের সম্বন্ধেও ঐ কথা খাটে। কাজেই শিল্পী আর বণিক্‌ ছাড়া আর কেউ সিক্কা সহজে বুঝিতে পারে না। কৃষি-প্রধান দেশ বা জাতের মাথায় সিক্কা-সমস্ত। চট্‌ করিয়া ঢোকে না। বাঙালী শিল্প-বাণিজ্যে রপ্ত নয় বলিয়৷ সৰ্ব্বত্রই একটা নৈরাপ্ত দেখা যায়। কিন্তু বড় বড় শিল্পে বাঙালী বেশী না থাকিতে পারে । বাঙালীর মধ্যে বড় বড় ব্যবসাদার না থাকিতে পারে। তবে ছোটখাটো শিল্পবাণিজ্যে যে অনেক বাঙালী মোতায়েন আছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । এক একটা শিল্পে বা বাণিজ্যে হাজার পাচেকের মত মূলধন লইয়া কত বাঙালী নিযুক্ত আছে, তাহার একটা বৃত্তান্ত তৈয়ার করিতে পারিলে খুব ভাল হয়। যদি আমরা দেখাইতে পারি যে, বিভিন্ন শিল্প-বাণিজ্যে অসংখ্য বাঙালী অল্প মূলধন লক্ট্রয় নিযুক্ত আছে, তাহা হইলে বাঙালীরা যে একেবারে শিল্প-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক-শূন্ত নয় তাহার প্রমাণ পাওয়া যাইবে, বর্তমান নৈরাপ্তেরও অনেকটা লাঘব হইবে। সেই জন্য এই বিবরণী তৈয়ার করার দিকেও আমাদের চেষ্টা করা উচিত।