পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 - о নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ছোটখাটো ব্যবসার কথা মফঃস্বলের অনেক উকীল আছেন যাহারা বিশেষ কিছু রোজগার করেন না, অথচ টাকা রোজগারের পন্থা সম্বন্ধে চিন্তা করেন । র্তাহাদেরকে একটা পরামর্শ দেওয়া যাইতে পারে। ভারত সরকারের কৃষি বিভাগে চাষবাসের কথঞ্চিৎ উন্নততর যন্ত্রপাতি উদ্ভাবিত হইয়াছে। সেই সব উন্নততর যন্ত্রপাতি তৈয়ার করিয়া বেচিতে পারিলে, আমাদের চাষী ও কুটিরশিল্পীর এখনই তাহা যথেষ্ট পরিমাণে কিনিবে । কাজেই, ঐ সব যন্ত্রপাতির জন্য বড় বড় বাজার তৈয়ার হইয়াই আছে। অথচ, ঐ সব যন্ত্রপাতি তৈয়ার করাও বিশেষ ব্যয়সাধ্য নয় । সুতরাং, ঐ সব সন্ত্রপাতি তৈয়ার করিলে আমাদের দেশের চাষী-শিল্পীদেরও উপকার হইবে, শিক্ষিত বেকাররাও উপার্জনের একটা নূতন উপায় খুজিয়া পাইবে । অল্প-স্বল্প রোজগারের নানা উপায় আছে। মোজ-গেঞ্জীর কলের জষ্ঠ ববিনে ১০ পাউণ্ড স্থত। গুটাইলে দৈনিক ১ টাকা হিসাবে পারিশ্রমিক পাওয়৷ যাইতে পারে । তাহা ছাড়া, খাম তৈয়ারী একটা অতি সোজা ও একটা বড় ব্যবসা । কলিকাতায় বোধ হয় এক হাজার মুসলমান খাম তৈয়ারী করিয়া প্রত্যেকে মাসে ২৫/৩০ টাকা রোজগার করে । খাম তৈয়ারার জন্ত চাই একটা কল,— দাম হাজার দেড়েক টাকা । একটা কলে যত কাগজ কাটিবে তাকে ভাজ করিতে ও তাহাতে গীত লাগাইতে প্রায় পচিশ জন ছোকরার দরকার হয়। একটা ছোট-খাটো মোজ-গেঞ্জার কলও টাকা রোজগারের মন্দ উপায় নয়। ছোটখাটো মোজ-গেঞ্জীর কল দেখিয়া অন্ত কেহ হয়তোবলিবেন— “এ আর এমন কি কাণ্ড!” এম.এস.সি পাশকরা কোনো ছেলে হয়তে ৰলিবেন—“ইস্, আমি এম্-এস-সি পাশ করিয়া কি না এই সামান্ত