পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্ম-প্রতিষ্ঠার সমাজশাস্ত্র ৪২৩ E EA AeSAAAAAAS AAAAAS AAAAA AAASA SAAAAS AAAAAS AAAAASAAAAeeSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SS SAAAAAA AAAAC SAS SSAS তাহারা নিজের জীবনে ধাক্কা-খাইয়া-শেখা নিজের কথাই বলে। যাহারা অমুক চিন্তা তমুক চিন্তার ইতিহাস লেখে, তাহারা ষত ভাল কথাই বলুক, তাহাদের মধ্যে কোনো মৌলিকত্ব নাই। কারণ, তাহারা পরের ধার-করা কথাই সাজাইতেছে, গুছাইতেছে এবং নুতনভাবে বলিবার চেষ্টা করিতেছে। এই জন্যই বলি যে সারা ভারতে আজ একজনও দার্শনিক নাই। র্যাহারা আছেন, তাহারা নূতন কোনো চিন্তা-প্রণালী গড়েন নাই, পুরাণে চিন্তাপ্রণালী লইয়াই মাড়া-চাড়া করিতেছেন। দর্শনের ইতিহাস লিখিয়া অথবা সংস্কৃত বইয়ের অনুবাদ প্রচার করিয়া বিদ্যার পরিচয় দেওয়া যায়। এ সবই প্রশংসার কথা। কিন্তু তাহাকে দর্শন বলি না। ওসব দর্শনের প্রত্নতত্ত্ব মাত্র। বিবেকানন্দ পরের কাছে শেখ বা ধারকরা বুলি আওড়ান নাই। জীবনের জলন্ত অভিজ্ঞতা যে সব সত্য র্তাহাকে শিখাইয়াছে, সেইগু ই তাহার বক্তৃতা, বই ও প্রবন্ধের মধ্যে প্রকাশিত হইয়াছে। এই জন্তই র্তাহাকে বলি একজন প্রথম শ্রেণীর দার্শনিক । নূতন সমাজ-শাস্ত্রের বনিয়াদ * উনবিংশ শতাব্দীতে আমাদের সব বড় লোকেরাই ঠিয়াইয়া গিয়াছিলেন যে, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বিভিন্ন, প্রাচ্যের কাজ ইতেছে আধ্যাত্মিক উন্নতি করা, পাশ্চাত্যের কাজ হইতেছে সাংসারিৰ বিষয়ে উন্নতি করা। র্তারা এই শিক্ষা পাইয়াছিলেন পাশ্চাত্যের দাfনক হেগেল, ম্যাক্সমুলার প্রভৃতির কাছে। কিন্তু হেগেল, ম্যাক্সমুলার উহা আমাদের জন্য ভাল ভাবিয়া বলেন নাই। তাহাদের কথা এই যে, প্রাচ্য এত অকৰ্ম্মণ্য যে, সে ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম লইয়াষ্ট থাকুক, সাংসারিক উন্নতি তাহার সাজে না। আমরাও সেই শিক্ষা পাইয়া বলিতে লাগিলাম, “ঠিক তো, আমরা আধ্যাত্মিক জাত,

  • মালদহ মোসলেম ইন্‌ষ্টটিউট প্রদত্ত বক্তৃতার সারমর্থ (১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৩২)।