পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Հ8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন আমরা সাংসারিকতায় মাতিব কেন ? দেশশাসন করা, ব্যবসা-বাণিজ্য করা, যুদ্ধ করা, শান্তিরক্ষা করা এ সব মেথর মুদফরাসের মত হেয় লোকের কাজ । ওসব কাজ স্লেচ্ছ পাশ্চাত্যদেরই সাজে, আমরা ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম লইয়াহ থাকিব ও আধ্যাত্মিকতা দ্বারা জগৎ জয় করিব।” আধ্যাত্মিকতার আমি নিন্দ করি না । ভারতের আধ্যাত্মিকত। আছে, তাহ৷ স্বীকার করি । প্রত্যেক মানুষের মধ্যে, আমার মধ্যেও আধ্যাত্মিকতা আছে, তাহাও স্বীকার করি । ভারতীয় নর-নারীর আধ্যাত্মিকতা আছে বলিয়া গৌরব বোধ ও করি । কিন্তু যখন কেহ বলে যে আধ্যাত্মিকতায় ভারত সেরা, অথবা পাশ্চাত্যের আধ্যাত্মিকতা নাই, তাহার কথা আমি মানি না। আমি আমার স্বজাতভায়া বাঙালীর সঙ্গে যেমন কথা বলি, যেরকম ব্যবহার করি, ইয়োরামেরিকার নানা দেশের মুচি হইতে মন্ত্রী পর্যন্ত প্রত্যেকের সঙ্গে তেমনভাবে কথা বলিয়াছি ও ব্যবহার করিয়াছি । ওসকল জাতের অনেকেরই হাড়ীর খবর পর্য্যন্ত রাখি । সেই অভিজ্ঞতা আছে বলিয়াই অামি বলিতেছি যে, আধ্যাত্মিকতায় পাশ্চাত্য আমাদের চেয়ে নিকৃষ্ট নয় । লোকে বলে সে পাশ্চাত্যে আমাদের দেশের মত মিষ্টিসিজম নাই । আমি বলিতেছি যে প্লেটো হইতে আরম্ভ করিয়া আধুনিক ইয়োরোপের অনেকের মধ্যে ভারতীয় ছাচের অতীন্দ্রিয়তা পাওয়া যায় । “মিষ্টিসিজম সম্বন্ধে তুলনা-মূলক আলোচনা হয় নাই বলিয়াই আমরা ভাবি অধ্যাত্ম-নিষ্ঠা ভারতের একচেটিয়া । বিবেকানন্দ ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার এক শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। বিবেকানন্দ যে শিকাগোর ধৰ্ম্মমেলায় যাইয়া বেদান্তের হুঙ্কার ছাড়িতে পারিয়াছিলেন ও দুনিয়াকে চম্‌কাইয়া দিয়াছিলেন। ইহার জন্য র্তাহাকে বাপক বেটা বীর বলি। র্তাহার সময়ে আমাদের দেশের লোক নিতান্ত অকৰ্ম্মণ্য ছিল ।