পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্ম-প্রতিষ্ঠার সমাজশাস্ত্র 8ቖoው সেই সময় “আধ্যাত্মিকতায় জগৎ জয় করিতে হইবে” এই বাণী দ্বার। বিবেকানন্দ ভারতবাসীর মধ্যে একটা যে সাড়া আনিয়াছিলেন, তাহার কিন্মং লাখ টাকা । যাহারা একেবারে নগণ্য, অধঃপতিত, কোনো দিকে কিছুই করিবার সুযোগ পাইতেছিল না তাহারা দেখিল যে, ই একটা দিক্‌ আছে, যে দি দিয়া তাহারা নিয়ার সেরা হইতে পারে। ইহা দস্তুর মাফিক “যুগান্তর” । বিবেকানন্দ একটা গতিশীল কৰ্ম্মনিষ্ঠ ধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠা করেন। এই জষ্ঠ তাহাকে যুগাবতাররূপে পূজা করি। কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার গলদুটা অর্থাৎ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য যে বিভিন্ন, প্রাচ্য যে আধ্যাত্মিক তার পাশ্চাত্য যে সাংসারিক,—এই ধারণ বিবেকানন্দকেও পাইয়া বসিয়াছিল। আমার বিবেচনায়,-যে যুগে তিনি জন্মিয়াছিলেন উহ। সেই যুগেরই দোষ । সম্প্রতি (১৯৩০) স্বামী অশোকানন্দ “প্রবুদ্ধ ভারত” পত্রিকায় “বিবেকানন্দের আর্থিক চিন্তা” সম্বন্ধে ষা লিখিয়াছেন তা পড়িয়া মনে হয় যে, আর কিছু দিন বাচিলে বিবেকানন্দ বোধ হয় ঐ গোড়ার গলদটার অধীনে বেশী দিন থাকিতেন না। একটা চিন্ত ফুটাইয়া তুলিতে সময় লাগে। অনেক সময় আট-দশ বছরের কমে হয় না। অথচ, অল্পমাত্র কাজ করিবার পর বিবেকানন্দ উনচল্লিশ বছর বয়সে মারা গেলেন । প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের তথাকথিত প্রভেদটা যে সত্য নয়, বাচিয়া থাকিলে বোধ হয় তিনি পুরাপুরি বুঝিতে পারিতেন। এইখানে নিজের কথাই একটু বলি। আমিও প্রথমে ঐ গোড়ার গলদটার মধ্যে পড়িয়া ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার বড়াই করিতাম । “সাধনা” বইখানা প্রথম লেখা ( ১৯০৭-১০ ) । তাহাতে এই “ফিলজফি” খুব বেশী দেখা যাইবে। তারপর, যখন শুক্রনীতিটা অনুবাদ করি ( ১৯১২-১৩), তখন আমার ধারণা বদলাইতে আরম্ভ করে। যদি প্রাচীন ভারতে অন্ততঃ একখানি বইও থাকে যাহাতে বস্তুনিষ্ঠা ও