পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२ ७ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন AAAAAA AAAA AAAA TS AAAAAS AAAAAT TeA AeeS SAASAASAASAASAASAASAASAAAS জড়বাদের চর্চা প্রচুর দেখা যায়, তাহা হইলে ভারত যে কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সেটা হাতে হাতে প্রমাণ হইয়া গেল। শুক্রনীতি এইরূপ একখানা বই। ঐ শ্রেণীর আরও অনেক বই ভারতে আছে। মহাভারতে এমন কথাও বলিয়াছে—“যখন দুৰ্ব্বল থাকিবে শক্রকে ঘাড়ে করিয়া লইয়া যাইবে, কিন্তু যখন সবল হইবে তখন ডিমকে পাহাড়ের গায়ে যেরকম চর্ণ করা যায়, শক্রকে সেইরকম আছড়াইয়া মারিবে।” এই ধরণের কথা মহাভারতে ভূরি ভূরি পাওয়া যাইবে । কিন্তু আমরা মহাভারতকে মানবীয় শক্তিযোগের দি হইতে পড়ি না, তাহার মধ্যে কেবল অধ্যাত্ম-তত্ত্বই চুড়িয়া থাকি । ১৯১৪ সনে যখন ইয়োরোপে যাই তাঙ্গর পূৰ্ব্বে আমার শুধু এই ধারণা হইয়াছিল যে, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের প্রকৃতিগত পার্থক্য নাই। তখন প্রচার করিতাম যে, রেণেসাস পর্য্যন্ত ইয়োরোপ ও এশিয়া প্রায় সমান সমান চলিতেছিল । তারপর ইয়োরোপ সাংসারিকতায় যতটা অগ্রসর হইয়াছে, এশিষ্ট্র ততটা পারে নাই। আজকাল এই ধারণা আরও স্পষ্ট হইয়াছে । এখন ইরোমেরিকার বিভিন্ন শক্তিগুলাকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ইত্যাদি বিভিন্ন শ্ৰেণতে ভাগ করিতেছি। তা ছাড়া, দুনিয়ার দেশগুল কে কোন ধাপে আছে, কোন দেশটা কতখানি অগ্রসর হইয়াছে, সে সম্বন্ধে ইকুয়েশ্যন বা সাম্য-সম্বন্ধ নেয়ার করিয়া দিতেছি । মানুষ স্বত্র বা প্রিন্সিপল বা ইকুয়েস্তান খোজে। তাতে একটা জিনিষ চট করিয়া ধরা যায়। এইজন্তই ইকুয়েস্তানগুলা তৈয়ার করিয়াছি । আমেরিকায় যখন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের প্রকৃতি-গত সাম্যের কথা প্রচার করি (১৯১৭-২০ তখন দর্শনাধ্যাপক ডুয়ী বলিয়াছিলেন, “ইহা সত্যই আশ্চৰ্য্য যে এই কথাটা এতদিন কাহারও মাথায় ঢোকে নাই । একশ’ বছরেরও উপর দেশ-বিদেশের পণ্ডিতেরা একটা ভুল ধারণার