পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্ম-প্রতিষ্ঠার সমাজশাস্ত্র 8२१ - Ar- n. * **్పూur বশবৰ্ত্তী হইয়া চলিয়াছেন। এত বড় একটা ভুল কি করিয়া সম্ভব হইল ?” কিথ মজার কথা। অন্যান্য সত্য আবিষ্কার করার মতন এই সত্যটা আবিষ্কার করাও নেহাৎ কষ্টকল্পনার সামগ্রী নয়। চাই তুলনামূলক যুক্তিশাস্ত্রের প্রয়োগ । ইয়োরোপে তুলনামূলক আলোচনার পথ দেখান জাৰ্ম্মাণ হার্ডার তার “ফিলোজোফীড্যর গেশিষ্টে” “(ইতিহাস-দর্শন)” নামক বইয়ে এবং তার পূর্ববর্তী ফরাসী পণ্ডিত মর্তাস্কিয়্যে। তার “লেম্প্রিদেলোআ" (আইনকামুনের মন্মকথা ) নামক গ্রন্থে। এশিয়ায় তুলনামূলক আলোচনার প্রথম প্রতিষ্ঠাতা রামমোহন রায় । ইহাতে আশ্চৰ্য্য হইবার কিছু নাই। রামমোহন রায়ের মাথায় তুলনামূলক গবেষণা-প্রণালী না থাকিলে সকলের প্রতিবাদের বিরুদ্ধে তিনি পাশ্চাত্যের শিক্ষা প্রাচ্যের জন্ত বরণ করিয়া লইতে পারিতেন না । “ফিউচারিজম্ অব ইয়াং এশিয়া” (যুবক এশিয়ার ভবিষ্য-নিষ্ঠ) বইয়ে (১৯২২) জগতের তুলনামূলক আলোচনা প্রণালীর অন্ততম জনকরূপে রামমোহনকে সম্বৰ্দ্ধনা করিয়াছি। কিন্তু দেশের লোক কি রামমোহন রায়কে সেই চোখে দেখে ? ধৰ্ম্মসুংস্কারক ও সমাজ-সংস্কারক এই আখ্যা দিয়া তাহাকে একঘর্যে করিয়া রাখিয়াছে। রামমোহনের মগজের কিন্মং এখনও বাঙালী পূরাপুরি বোঝে নাই । যাহা হউক, তুলনামূলক আলোচনা-প্রণালীর সেকেলে পণ্ডিতেরা আর দার্শনিকেরা অনেক ভূলুচুক করিয়াছেন । র্তাহারা যুগের পর যুগ ধরিয়৷ প্রত্যেক দেশের জীবনযাত্র ও ধরণধারণ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করেন নাই। তাহার। পুরাণ জিনিষগুলার সঙ্গে আধুনিক জিনিষগুলার তুলনা করিতে ঝুঁকিয়াছেন। পাশ্চাত্যে আজকাল যে সব অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের জয়জয়কার দেখিতে পাই, সে সব যে পঞ্চাশ পচাত্তর এক শ’ দেড়শ বছর পূৰ্ব্বেও পাশ্চাত্যে ছিল না, তা তাহাদের খেয়ালে নাই। আবার এশিয়ায়