পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুবক বাঙলার কৰ্ম্মক্ষেত্র こぬ তাহা হইলেও বলিব “স্বধৰ্ম্মে নিধনং শ্রেয়ঃ, কুছপরোআ নাই লেগে থাক তাতেই ৷” গরুর গাড়ি পাশ করিয়া আমার কুটির-শিল্প পরখ করিয়া দেখা আছে। আর ম্যালেরিয়া পাশ করিয়া পল্লীসেব করা কি চিজ তাও আমার হাড়মাস বেশ ভাল রকমই জানে। অপর দিকে দেশ-বিদেশে বৃহত্তর ভারত প্রতিষ্ঠার কাজে নিজকে মোতায়েন রাখিতে কসুর করি নাই । এশিয়ার ইজ্জং ইয়োরামেরিকায় আর ইয়োরামেরিকার ইজ্জৎ এশিয়ায় ছড়াইতেও—ক্ষমতার দেড় আর বিদ্যার দেড় যত দূর যায়—প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছি । সৰ্ব্বত্রই আমি যুবক বাঙলার সেবক । বঙ্গীয় যুবক-আন্দোলনের ভাবুক ও কম্মদক্ষ ব্যক্তিগণকে খোলাখুলি তাই বন্ধভাবে ডাকিয়া বলিতেছি ,— ভাই,— পল্লা নয়গে। গুড়মাখানে, আস্তাকুড় নয় সম্বর গুল, রাজধানী নয় সোণায় তৈরী, মফঃস্বল নয় পায়ের ধলা । সব বামুন নয় বিট্‌কেল আর সব মুচি নয় বীর, সব গেরস্ত ভীরু নয়রে—সব সাধু নয় ধীর । শক্তি-স্রোত বহে বিচিত্র শত পথে শত মুখে— কন্তু দেখি তারে গ্রামে পল্লীতে কতু সঙ্গরের বুকে । ভাসায়ে দেয় সে শত ক্ষেত আর শত ফসলের আঁটি, চুপ করে কড় এক বাকে বসে থাকেন। সে পরিপাটি। ফল ধরে চলেন। জীবন মাপজোক-কাটা পথে, ( শুধু ) গ্রন্থস্বত্র আওড়ায়ে কত্ব চলেনাগে। কোন মতে । তাই বাজিয়ে দেখি নরনারী সব কেরদানি কত কার— দ্বিজ-চণ্ডালে পল্লী-সহরে নাইক’ কারণ তফাৎ করার ।