পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२b~ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন যে সব খুটিনাটি আজও দেখিতে পাইতেছি, সে সব যে “সেকালে” ইয়োরোপের দেশবিদেশেও পূরামাত্রায় বিরাজ করিত, দে সব কথা তাহারা বেমালুম ভুলিয়া গিয়াছেন। কাজেই তুলনায় আলোচনা করিতে যাচয় তাহারা অসংখ্যপ্রকার যুক্তিহীন স্বত্র ঝাড়িয়াছেন। এইগুল দেখাইতে যাইয়াই আমার লেখাপড়ার ভিতর নূতন সমাজশাস্ত্রের বনিয়াদ গাড়া হইয়া পড়িয়াছে। ডুয়ীর সঙ্গে আলোচনায় এই সকল কথাই প্রধান স্থান পাইত । বল কান-মাপ না মার্কিণ-জাৰ্ম্মান-বৃটিশ মাপ ? আমরা আমাদের দেশের আয়ের সঙ্গে অন্যান্ত দেশের আয়ের তুলনা করিয়া থাকি । মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রের লোকদের মাথাপিছু বার্ষিক আয় হয়তে ৯০০ টাকা, আমাদের আয় হয়তো ৭০-৮০ টাকা। অথবা মাথাপিছু বীমার মূল্য মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রে হয়তে ১৫০০ টাকা, আর আমাদের দেশে ৫ টাকা । তারপর উহাদের দেশে লোকে খাওয়া পরার জন্য কত বেশী খরচ করে, আমাদের দেশের জীবনযাত্রা প্রণালী উহাদের তুলনায় কত নীচে ! এই সব কথা ভাবিয়া আমরা মনে করি, আমরা অনেক পেছনে আছি, আমাদের উন্নতি হওয়া সোজা নয় । কিন্তু, এই ধরণের তুলনা করিবার সময় আমাদের একটা কথা মনে রাখা উচিত। উহাদের দেশে লোকে যতটা খাইতে বা পরিতে না পাইলে বাচিতে পারে না, আমাদের দেশে তাহার চেয়ে ঢের কম খাইলে বা পরিলেও মুল । যে সব জিনিষ খাইয়া এদেশে বেশ বাচা যায়, সেগুলার মাস্থিক দাম হয়তে জনপ্রতি টাক। তিনচারেক মাত্র । তারপর কাপড়চোপড়ের জন্ত মাসিক খরচ টাকাটেক । এই গেল চার-পাচ টাকা। প্রত্যেকের কার্য্য-দক্ষতার জন্য কিছু বাচানো উচিত ও