পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্ম-প্রতিষ্ঠার সমাজশাস্ত্র 8২৯ AAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAA কিছু বীমা করা দরকার। তার জন্য ধরা যা টাকাটেক। এই গেল ছয়সাত টাকা। এদেশে মাসিক পাচ-সাত টাকা খরচায় বাচিয়া থাকা, এমন কি খানিকটা কাৰ্য্যদক্ষ হওয়া সম্ভব । সৰ্ব্বত্রই নেতাৎ নিম্নতম হার ধরিতেছি। এটা যদি সম্ভব হয়, তাহা হইলে, যেহেতু মাকিণরা তাহাদের খাওয়া পরার জন্য আমাদের দশবিশ গুণ খরচ করে, তার জন্তই যে তারা দশবিশগুণ কাৰ্য্যদক্ষ হইবে তাহা সত্য নয়। উহারা যতটা খাওয়া-পরা বা আরাম পাইলে শ্রেষ্ঠ দক্ষত দেখাইতে পারে, আমরা তাহার চেয়ে ঢের কম খাওয়াপর পাইয়াও ঠিক সেইরকম দক্ষতা দেখাইতে পারি। কাজেই, যতদিন না আমাদের জীবন-যাত্র-প্রণালী উহাদের সমান হইতেছে, ততদিন আমাদের যে হতাশ হইয়া থাকিতে হইবে, তাহা নয়। বিভিন্ন দেশের আয়-ব্যয়ের তুলনা করিবার সময় এই কথাটা সৰ্ব্বদা মনে রাখা দরকার । ১৯২৬ হইতে ১৯২৯ সন পর্য্যন্ত বলিয়াছি যে,মাকিণ যুক্তরাষ্ট্র, জাৰ্ম্মাণি, বিলাত ইত্যাদি দেশ সাংসারিক উন্নতি সম্বন্ধে আমাদের চেয়ে পঞ্চাশ ষাট বছর অগ্রবর্তী, ইতালি, জাপান, রুশিয়া আমাদের চেয়ে অল্পমাত্র উন্নত, আর বুলগেরিয়া, গ্রীস, তুর্কী ইত্যাদি আমাদের প্রায় সমান-সমান। কিন্তু ১৯৩১-৩২ সনে দ্বিতীয়বার বিদেশ হইতে ফিরিয়া আসিয়া বলিতেছি যে, ভারতবর্ষ আর্থিক হিসাবে প্রথম শ্রেণীর দেশগুলা হইতে পিছনে বলিয়া, যতদিন না ভারত উহাদের নাগাল ধরিবে ততদিন যে চুপ করিয়া বসিয়া থাকিতে হইবে, তাহা নয়। আমরা গরীব বটে, কিন্তু তাহা সত্ত্বেও আমাদের কৰ্ম্মদক্ষতার অভাব নাই। আমাদের মধ্যে “শিক্ষিতে’র সংখ্যা বেশ নয় বটে, কিন্তু শিক্ষার অভাব রাজনৈতিক শক্তি পরিচালনার পক্ষে বাধ৷ বলিয়া আমি মনে করি না। প্রায় আমাদেরই মত অল্প শিক্ষাপ্রাপ্ত জাতি ত’ অনেক স্বাধীন রহিয়াছে। এইজন্ত, আমরা নানাবিষয়ে পশ্চাৎপদ