পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 లిన নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ھا- بعبہ جمیے یہاجمیر অার স্বদেশসেবক-বিষয়ক । দেশে যথার্থ স্বদেশসেবকের অভাব, খাটি স্বদেশ-সেবা-প্রণালীর অভাব । স্বদেশসেবক মুসলমানের স্বদেশসেবক হিন্দুদের সঙ্গে একযোগে কাজ করিবেই করিবে। আবার হিন্দুদের ভিতর যাহারা স্বদেশ-সেবক তাহারাও স্বদেশসেবক মুসলমানদের সঙ্গে মিলিয়। মিশিয়া কাজ করিতে বাধ্য হইবে । কাউন্সিল আর অ্যাসেমব্লিতে আইনতঃ হিন্দুর দল আর মুসলমানের দল খাড়া হইতে চলিল বটে (সেপ্টেম্বর ১৯৩২) । কিন্তু এইরূপ সাম্প্রদায়িক দলভেদ পুষ্টি করার স্বপক্ষে আইন কায়েম হওয়ার প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও হিন্দু বনাম মুসলমান সমস্তা বড় বেশী দেখা যাইবে না। দেখা যাইবে হিন্দু-মুসলমান বনাম স্বদেশদ্রোহিত । কাউন্সিল-অ্যাসেমব্লির অধিকাংশ কৰ্ম্মক্ষেত্রেই হিন্দুর সঙ্গে মুসলমানে মিলিয়া রাষ্ট্ৰদল গড়িয়া তুলিবে। আবার মুসলমানের সঙ্গে মিলিয়াও হিন্দুর রাষ্ট্ৰদল গড়িতে ঝুকিবে । প্রত্যেক দলেই দেখিতে পাইব হিন্দুর পাশে মুসলমান আর মুসলমানের পাশে হিন্দু । ধৰ্ম্মের নামে, উপাসনাপদ্ধতির নামে, দাড়ী-টিকির নামে দল গুলা মার্কামারা থাকিবে না, দলগুলা দাগ দেওয়া থাকিবে লোকজনের হিতসাধক কৰ্ম্মপ্রণালীর নামে। প্রথম প্রথম কিছুদিন টিকি-দাড়ীর দৌরাত্ম্য থাকিবে সন্দেহ নাই । কিন্তু এই দৌরাত্ম্য বেশীদিন মারাত্মকরূপে অস্তিত্ব বজায় রাখিতে পারিবে না। মুসলমানদের ভিতর যাহারা শেয়ানা তাহারা দেখিবে যে, একমাত্র মুসলমান বলিয়া তাহারা মুসলমান নেতাদের কাছে কন্ধে পাইতেছে না। আবার হিন্দুদের ভিতর যাহারা শেয়ানা তাহার। ত এখনই জানে ষে, একমাত্র সনাতন ধম্মের দোহাই দিয় তাহার। মাতব্বরস্থানীয় হিন্দুদের প্রিয়পাত্র হইতে পারে না। কাজেই উভয় সম্প্রদায়ই তথাকথিত ধৰ্ম্মতত্ত্ব জলাঞ্জলি দিয়া জীবনমরণের আসল স্বার্থগুলা যাহাতে সংরক্ষিত হয়