পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্ম-প্রতিষ্ঠার সমাজশাস্ত্র 8©ტ তাহার জন্য হিন্দু-মুসলমানের যৌথ দল গড়িতে থাকিবে । ষে সকল হিন্দুর নিকট অন্যান্ত হিন্দুরা উঠিতে বসিতে নাস্তানাবুদ হয়, আর যে সকল মুসলমানের নিকট অন্তান্ত মুসলমানেরা শির খাড়া রাখিয়া চলাফের করিতে অসমর্থ সেই সকল হিন্দু ও মুসলমানের বিরুদ্ধে এই সব নিম্প্রভ হিন্দু ও বে-ইজ্জৎ মুসলমান সমবেতভাবে আত্ম-চৈতন্তবিধায়ক আত্মপ্রতিষ্ঠার সহায়ক রাষ্ট্ৰদল গড়িয়া তুলিবে । ইহাই সমীপবৰ্ত্ত ভবিষ্যতের নয়া-বাঙ্গলার রাষ্ট্রক গড়ন। তাহাতে লাভ ছাড়া লোকসান নাই। এই সকল কথা আমার নিকট প্রাথমিক স্বীকার্য্য বিশেষ। এইবার বৰ্ত্তমান অবস্থার উপযোগী একটা রাষ্টিক কৰ্ম্মকৌশল মাত্র “কয়েক বৎসরের জন্ত” দেশের নিকট পেশ করিতেছি। প্রথমেই আরও দু’একটা কথা স্বীকার করিয়া লইতেছি — ১ । ১৯৪০ সনের ভিতর বাঙ্গলা দেশ “স্বাধীন”ও হইবে না আর বাঙালী জাতি “স্বরাজ”ও পাইবে না। ২ । কিন্তু আগামী কয়েক বৎসরের ভিতরই সামাজিক, আর্থিক ও রাষ্টক কৰ্ম্মক্ষেত্রে বাঙ্গলার নরনারী অনেক বিষয়ে জীবন উন্নত ও সমৃদ্ধ করিতে সমর্থ। ৩। কাজেই বাঙালী হিন্দু-মুসলমানের ভিতর যাহারা স্বদেশসেবাব্রতধারী তাহাদের কেহ কেহ ভারতবাসীর জন্য অথবা বাঙ্গলাদেশের জন্য “চরম লক্ষ্য” ও “মুখ্য উদ্দেগু” ইত্যাদি লম্বাচোঁড়া মুখরোচক আদর্শের চর্চা ছাড়িয়া দিতে প্রস্তুত থাকুন। তাহার পরিবর্তে র্তাহারা অনতিদূর ভবিষ্যতে যে সকল দেশহিতবিষয়ক অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান রুজু করা সম্ভব ও সহজসাধ্য তাহার চর্চায় সমগ্র শক্তি নিযুক্ত করুন। g । আগামী তিন, পাচ বা সাত বৎসরের জন্য দেশোন্নতির রাষ্ট্ৰদল গড়িবার মতলবে একটা কৰ্ম্মপ্রণালী জারি করা যাইতেছে। জেলায় चि-२v