পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়। বাঙ্গলার গোড়া পত্তন مS)b\ বিদ্যার মাত্রা-বৃদ্ধি। যুবক বাংলার যার ষে দিকে মজ্জি বা সুযোগ সে সেই দিকে মগজ খেলাইতে পারে । সকলকেই কোনো একদিকে ঢলিয়। পড়িতে বলিতেছি না। যৌবন-পূজার নতুন নতুন সরঞ্জাম নান ঘাটিতে মজুত হইতে থাকিলে বাঙ্গালী মগজ এক অভিনব শক্তির পরিচয় দিতে থাকিবে । বন্ধুরা আমাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছে,—“কোন কাজটা করি ?” কাজের পথ বাত লাইয় দিবার অনুরোধ বোধ হয় আপনাদের নিকটও অনেক আসে। আবার অনেকের নিকট আপনারা হয়ত নিজেই কাজের তালিকা চাহিয়৷ থাকিবেন । এই সকল বিষয়ে আমার চিস্তা-প্রণালী অতি সোজা । আমার বক্তব্য এই—“ভাই যা পার, তাই কর।” খদ্দর চালাইবার সুযোগ থাকে, তাই সই। নৈশ পাঠশাল কায়েম করিতে পার? বেশ ত ভালই। হাসপাতালের জন্য টাকা তুলিবার ক্ষমতা আছে ? তাই কি ফেলিয় দেওয়ার জিনিষ ? লাইব্রেরি-আন্দোলনে মাথা খেলিতেছে ? যাও লেগে তাতেই ! বই লিখিতে মন যায় ? লিখে যাও ! কাগজ চালাইতে ইচ্ছা কর, ভাল কথা । হকি-ফুটবলের আখড়া কায়েম করিতে চাও ? তারও দরকার আছে। নমঃ-শূদ্রদের উঠাতে ও । মন্দ কি ? তারপর ব্যাঙ্ক, বীমা, ফ্যাক্টরী, আমদানারপ্তানী,—এসবের দামও ঢের । আর শেষ পর্য্যন্ত গলাবাজি ত আছেই। গল। খাটাইয়া যদি দশ বিশ পঞ্চাশ জনের মতিগতি সমবায়-আন্দোলনের দিকে অথবা কুস্তি-কসরতের দিকে কিম্বা আর কোনো দিকে ফিরাহতে পার তার কিন্মংও লাখ টাকা । পল্লীরতী হইতে চাও, ভাল । সহরের জঞ্জাল পরিষ্কার করিতে মতলব অঁাটিতেছ,—তাহা ও ভাল । ফ্যক্টরী চালাইতে পার ত বলিব বাপক। বেটা। আর যদি কুটির-শিল্পের বেশী এঞ্জিনিয়ারিংয়ের দৌড় না যায়