পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার ইস্কুলমাষ্টার 8 9 পূৰ্ব্বে, ১৯০৭ সনের জুন মাসে মালদহে “জাতায় শিক্ষার এক খুটা গাড়িবার উপলক্ষে “বঙ্গে নব-যুগের নূতন শিক্ষা” নামক প্রবন্ধ পড়িয়াছিলাম। শিক্ষা-ব্যবসায় আর শিক্ষা-সাহিত্যে সেই আমার হাতে খড়ি। বস্তুতঃ তাহাকেই জীবনের কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রথম অ্যাপ্রেন্টিসি বিবেচন। করিয়া থাকি । সেই আন্দোলনের যুগে যখন “শিক্ষাবিজ্ঞান”, “ভাষাশিক্ষা , “প্রাচীন গ্রীসের জাতীয় শিক্ষা”, “বিনা ব্যাকরণে সংস্কৃত শিক্ষা”, “শিক্ষাসমালোচনা” “শিক্ষা-সোপান”, “ষ্টেপস্ টু এ ইউনিভারসিট", “ইণ্টোডাকশ্বন টু দি সায়েন্স অব এডুকেশন”, “শিক্ষানুশাসন” ইত্যাদি সাহিত্য রচনা করিতেছিলাম, তখন দেশের ভিতর শিক্ষা-সংসারে কোনে।রূপ স্নাড়া একপ্রকার পাওয়া যাইত না । আজ বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের অধ্যাপক, ইস্কুল-পাঠশালার মাষ্টার, সকলেই ਿ কিছু সজাগ, কৰ্ম্মতৎপর ও উৎসাহশীল। দেশটা বড় হইয়াছে। এই দেশবৃদ্ধির কারবারে রাম, শ্যাম, আবদুল, ইসমাইল, সকলেরই কিছু কিছু দান করিবার আছে। যে-কোনো লোকই কারবারটাকে এক ধাপ, আধ ধাপ, সিকি ধাপ এগিয়ে দিতে সমর্থ। সেই সাহসেই আমিও আপনাদের দলে দাড়াইতে ঝুকিয়াছি। প্রথমেই বলিয়া . রাখি যে ইস্কুল-কলেজের ছাত্রদের কথা আজ আলোচনা করিতেছি না। শিশুজীবন, ছাত্রজীবন ইত্যাদি বিষয়ক ভালমন্দ বর্তমান বিশ্লেষণের বহির্ভূত। আমি একমাত্র ইস্কুলমাষ্টারদের জীবন-বৃদ্ধি, ব্যক্তিত্ব-প্রতিষ্ঠা আর কৰ্ম্মদক্ষতা-পুষ্টির কথাই বলিব । এই দশ বার হাজার বাঙালীর দলকে বাংলার এক শক্তিশালী শ্রেণীতে পরিণত করিবার কৌশলই আমার একমাত্র আলোচ্য বিষয় । কোন কোন কাজ করিলে, কোন কোন চিন্তামগুলের আওতায় আসিলে,