পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার ইস্কুলমাষ্টার 8> প্রথমেই আমি বলিব আৰ্থপলজি বা নৃতত্ত্ব বিদ্যার কথা। বিগত পচিশ ত্রিশ চল্লিশ বৎসরের ভিতর মানবজাতির জীবনবৃত্তান্ত সম্বন্ধে অসংখ্য নতুন আবিষ্কার সাধিত হইয়াছে। নিয়ার প্রায় প্রত্যেক মুল্লকেই ঠিক যেন একটা করি। ক্রাট, একটা করিয়৷ বগজকৈ, একটা করিয়া তুং-আঙখ আমন, একটা করিয়া মহেঞ্জোদড়ে দেখা দিয়াছে, এইরূপ বলিতে পারি । অপর দিকে কোথায় মার্কিণ মুল্লুকের হরোকোআ, কোথায় আফ্রিকার বুশম্যান, কোথায় দক্ষিণ চীনের লোলে, কোথায় জাপানের আইনু, কোথায় পলিনেশিয়া দ্বাপ-পুঞ্জের মাওরি, কোথায় ভারতের টেঙা, কোথায় ইয়োরোপের বাস্ক —অসংখ্য “বুনো” “পাহাড়ী” জাতির পারিবারিক গড়ন, সম্পত্তি ব্যবস্ত, রাষ্ট্র কৰ্ম্ম, ধৰ্ম্মের তুৰমুৰু, আর শিল্প-চচ্চ সবই মানবসমাজের চৌহদি বাড়াইল্প দিয়াছে । তাতার ফলে সভ্যতা, অসভ্যত ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করিতে যাইবার পূৰ্ব্বে দুনিয়ার পণ্ডিতেরা আজকাল তিনবার পাচবার পচিশবার ভাবিয়া দেখিতেছেন । মানবজীবনের সু-কু, সুনীতি-কুনাতি হত্যাদি বস্তু সম্বন্ধে নৃতত্ত্ব বিদ্যা একটা বিপ্লব স্বষ্টি করিয়া ছাড়িয়াছে। এই বিপ্লবের আধতাওয়ায় প্রত্যেক শিক্ষিত বাঙালীকে চলাফেরা করিতে হইবে । তাহার জন্ত ব্যবস্ত চাহ । বিভিন্ন জাতির বিচিত্র অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মানবাত্মার বহুমুখ ঐক্যবিশিষ্ট বিকাশ দেখিয়া নৃ-তত্ত্বের সেবকের। অনেক বিষয়ে উদার মত পোষণ করিতে শিখিয়াছেন। ভারতেও সেই উদারতার পুষ্টি আজ বিশেষ জরুরি । কেননা আমাদের পল্লীতে পল্লাতে কিছুকাল ধরিয়। পরজাতিবিদ্বেষ, পরধৰ্ম্ম-বিদ্বেষ, পরব্যবসা-বিদ্বেষ ইত্যাদি সঙ্কীর্ণত প্রবল আকারে দেখা দিয়াছে। কথায় কথায় মুসলমানের বিরুদ্ধে হিন্দু, হিন্দুর বিরুদ্ধে মুসলমান, নমঃশূদ্রের বিরুদ্ধে তথাকথিত উচ্চ জাত, বড় জাতের বিরুদ্ধে वि-8 (১) নৃতত্ত্ব