পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার ইস্কুলমাষ্টার (t ) তারপর চিত্ত-বিজ্ঞান বা সাইকলজির কথা । এই ক্ষেত্রেও বিপ্লব আসিয়াড়ে । আগেকার দিনে চিত্ত বলিলে লোকের বুঝিত একমাত্র মানবচিত্তের কথা। কিন্তু নৃ-তত্ত্ব যেমন মানবজাতিকে লম্বায়, চওড়ায়, কাল হিসাবে এবং দেশ ও জাত হিসাবে বাড়াহয় দিয়াছে, চিত্তবিজ্ঞানও সেইরূপ আজকাল চিত্তের চৌহদ্দি বাড়াইয়। দিয়াছে । জানোয়ারের চিত্ত এক্ষণে সুপরিচিত বস্তু । নরনারীর স্মৃতি, সংস্কার, মনোযোগ ইত্যাদি মানসিক প্রক্রিয়ার মতন প্রক্রিয়। পশুজাবনেও দেখা যায়। পশুচিত্তের বিশ্লেষণ করিতে করিতে পণ্ডিতের এক্ষণে চিত্তের প্রকৃতি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ নূতন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করিতে পারিয়াছেন । জানোয়ার-সমাজের হিংসা, দ্বেষ, স্নেহ, প্রেম, অপরাধই মানব-সমাজের হিংসা, দ্বেষ ইত্যাদির গোড়। এইরূপে চেতনা, চিত্ত, মন-বস্তুর পারম্পর্য আবিষ্কৃত হইয়াছে। পশুচিত্তের মতন শিশু-চিত্ত, পাগল-চিত্ত, দল-চিত্ত, সমাজ-চিত্ত ইত্যাদি নানাবিধ চিত্তের আবিষ্কার বিগত দুই তিন দশকের কীৰ্ত্তি । অপর দিকে কিছুদিন পূর্ণ পর্যন্ত মানুষ বলিলে ছোড়া বুড়া, মেয়ে পুরুষ, রোগ সুস্থ, মজুর মালিক ইত্যাদি সকল প্রকার মানুষের একটা খিচুড়ী বুঝ। যাহত । আজকাল মানুষ বলিলে বয়স হিসাবে চিত্ত ও “চরিত্র” বিশ্লেষণ করা হয়। স্বাস্থা হিসাবে, ব্যবসা হিসাবে, আয় হিসাবে মানুষে মানুষে তফাৎ করা হয় । ছোড়ার চিত্তে আর জোআনের চিত্তে, আবার জোআনের চিত্তে আর প্রৌঢ়ের চিত্তে আকাশপাতাল প্রভেদ। এই সব “বিহেহিবয়ার”, “চরিত্র” বা জীবনের “সাড়া” বিশ্লেষণ করিবার দিকে বিজ্ঞান অনেক দূর অগ্রসর হইয়াছে। ফলতঃ অদ্বৈতবাদের মতন এক কথায় মানব-চিত্ত, মানবাত্মা ইত্যাদি চিজ আর স্বীকার করা চলে না। সৰ্ব্বত্রই বহুত্ব ও অনৈক্যের জয়জয়কার চলিতেছে । তাহার ফলেও (১) চিত্ত-বিজ্ঞান