পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার ইস্কুলমাষ্টার © ☾ كبير কলেজ স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান । এই সমুদয়ের সব-কিছুই ২৩টা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্ভূত । অপর দিকে জিজ্ঞাস্য, কিরূপ ছাত্রছাত্রী,—অর্থাৎ কয়টা পাশের পর পুরুষ-নারীরা জাৰ্ম্মাণ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করিতে অধিকারী ? ১৪ বৎসর বয়সে বাধ্যতামূলক পাঠশালার লেখাপড় শেষ করিয়া যাহার। “গিমনাজিয়ুম” অথব! রেয়াল-গুলে” ও “লিংসেয়ুম” নামক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যায় একমাত্র তাহারাহ কয়েক বৎসর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভৰ্ত্তি হইতে পারে | মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেষ পরীক্ষা দিতে হয় সাধারণতঃ ১৮১৯ বৎসর বয়সে । এই পরাক্ষার জন্ত ছাত্রছাত্রীরা যে সকল সাহিত্য, বিজ্ঞান, গণিত ইত্যাদি বিদ্যার চর্চা করে তাহার ওজন আমাদের ভারতীয় বি-এ, বি-এল-সির সমান অথবা প্রায় কাছাকাছি । আমাদের ইণ্টারমাডিয়েট জাম্মাণ গিমনাজিধুম-রেয়ালগুলে-লিংসেয়ুমের কিছু নাচে । তাতএক দেখা যাইতেছে যে, ভারতের ইণ্টারমাডিয়েট আর বি, এ, বি-এসসি, ক্লাসগুলাকে জাম্মাণ ঢংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্ভূত বিবেচনা করা উচিত। একমাত্র পোষ্ট-গ্র্যাজুয়েট ক্লাসগুলাকে অর্থাৎ এম এ, এম-এসসি, পরীক্ষার জন্য যে সকল ছাত্ৰ তৈয়ার হইতেছে, তাহাদিগকে বাহ্যতঃ জান্মাণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সমান বিবেচনা করা সম্ভব । এই সমতট কিন্তু সামাজিক বা ব্যবহারিক হিসাবে বুঝিতে হইবে, যথার্থ গুণ হিসাবে বুঝ। চলিবে না। কেননা জাম্মাণ গিমনাজিয়ুম-রেয়ালগুলে-লিংসেয়ুমের শিক্ষকেরা যে দরের বিদ্বান আমাদের ইস্কুল-কলেজের মাষ্টারের অনেকেই সেই দরের লোক নন । অধিকন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ধাপে আসিয়া জাম্মাণ ছাত্রছাত্রীরা তিনচার বৎসর কাটায়। এই সময়ে তাহারা যাহা কিছু শিখে তাহা শিখাইবার মতন পণ্ডিত ভারতীয় পোষ্ট-গ্র্যাজুয়েট বিভাগের অধ্যাপক মহলে বড় বেশী নাই।