পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○b নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন দেশোন্নতির পথ পরিষ্কার হইয়া আসিবে । এইরূপ আদর্শ চোখের সম্মুখে রাখা আমার দস্তুর । সম্প্রতি আমার ভাবুকতার দৌড় আর বেশ দূর যায় না । ভবিষ্যতের কোনো বাঙালী ভাবুক হয়ত বলতে পারিবেন,--“না, বি-এ, বি-এসসি বিদ্যার কমে বঙালী সমাজের মেরুদণ্ড খাড় থাকিতে পারে না ।” কিন্তু সেই ভবিষ্যৎ কবে ত্যাসিবে আমি জানি না শীঘ্ৰ আসিলে সুখের ও গৌরবের সন্দেহ নাই । কিন্তু সেই সু-স্বপ্নের মোহে দিন কটানে। আমার পক্ষে অসম্ভব । মুচা, তাতা, বাগ দি, হাড়ি, ডোম, জেলে নমঃশূদ, মুসলমান চত্যাদি সকল জাতের ভিতরই হাজার হাজার মাটি কুলেশনের ছাপওয়াল লোক দেখিতে পাইলেই সম্প্রতি আমি সুখী হই । পাড়াগায়ের সকল সম্প্রদায়ের ভিতর গলিঘোচে বহুসংখ্যক এই চাপরাশওয়াল নরনারা স্বষ্টি করা যদি আমার পক্ষে সম্ভবপর হুহত তাহা হইলে আমি নিজকে মস্ত বড স্বদেশ-সেবক বিবেচন। করিয়! ধন্ত তহতাম । এতগুলা মাটিকুলেশন-পাশ লোক সৃষ্টি করা যাইতে পারে কি করিয়া? জবাব অতি সোজা , যেখানে যেখানে ম্যাটিকুলেশন পাঠশালা তাছে সেখানে সেখানে পাঠশালা গুলার আকার প্রকার বাড়াইতে শুইবে । আর যেখানে যেখানে ঐ দরের পাঠশালা নাচ, সেখানে সেখানে ঐ সব নতুন করিয়া কায়েম করিতে হবে ম্যাটিকুলেশন-ইস্কুলের সংখ্যা বৃদ্ধি বক্তমানে আমাদের আধ্যাত্মিক ও আর্থিক উন্নতির প্রধান খুটি । বেশ পয়সা খরচ করিয়! ভাল ইস্কুল চালাহবার ক্ষমতা বাঙালীর আজ নাই। একথা অজানা নাই কাতারও কাজেই ম্যাটিকুলেশন বিদ্যাটাকে অতি বিজ্ঞের মতন খুব কড়া নজরে পরখ করিয়| দেখিতে আমি রাজি নই। আর্থিক জীবনে আমরা ভারতে “মায়ের দেয়া মোট কাপড় মাথায় তুলে” নিতেই অভ্যস্ত । ইয়োরামেরিকার মাপকাঠিতে