পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W ? নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন হিসাবে কলম চালানে। আর চিঠিপত্র লিখিবার ক্ষমতা অর্জন করা ত সম্ভবপর হইবে । ইংরেজি ভাষায় দৈনিক সাপ্তাহিক কাগজগুলা পড়িবার যোগ্যতা ত দেশের আপামর জনসাধারণের ভিতর ছড়াইয় পড়িবে। টুচার দশ লাইন কবিত। মুখস্ত করা, কয়েকটা শ্লোক আওড়ানে, তার পাচ সাত জন নামজাদ লেখক পণ্ডিতের নাম ধাম জান, এ সবও ম্যাঢ়ি কুলেশনেরই গণ্ডার ভিতর ধরিয়া রাখ। নেহাৎ অসম্ভব নয় । অধিকন্তু শরীরপালন ও স্বাস্থ নাতির যৎকিঞ্চিৎ মা কুলেশনে জম করা কঠিন নয়। তাত ছাড় গোট কয়েক যন্ত্রপাতি, গাছ গাছড়া, জীবজন্তু, ধাতুপ্রস্তর গ্রহনক্ষত্র এই সবের সঙ্গে কুটুম্বিত ঘটাইয়। দেওয়া আজকালকাব যে কোনে মাটি কুলেশন পাঠশালার পক্ষেই সত্সব লেখাপড়ার মাপকাঠির তরফ হইতে আমাদের ইস্কুল-কলেজের সংস্কার সাধিত হওয়! বাঞ্চনায় । কিন্তু বক্তমান জগতে সদার সাধন করাট । ঢাকার খেলা যত গুড় তত মিষ্টি । ভাল ভাল মাষ্টার বাহাল করিতে লাগে পয়সা, আর গণ্ড গণ্ড অলিমারি ভর। চাই মানচিত্র, ছবিচিত্র ইত্যাদির বাণ্ডিল থাকে থাকে সাজানে। পদার্থবিদ্য বিষয়ক কলষন্ত্র অথবা রাসায়নিক দ্রব। ব। ভূতাত্ত্বিক ইট পাটকেল, আর জানে।গ্লারের হাড়গোড়, তরু-লতার ফলমুল ইত্যাদি বস্তু ইস্কুলের সংগ্ৰহালয়ে মজুত করিতেও রূপচাদেরই ডাক পড়ে। এই সকল সংস্কার সাধিত হইলে বাঙালীরা শিক্ষাক্ষেত্র বেশ উচিয়ে উঠিতে পারিবে, এইটুকু বুঝিবার মতন ক্ষমতা নেতাং আনাড়ি লোকেরও আছে কিন্তু আজ ১৯২৭ সনের অবস্থায় আমি বলিব যে,—অশিক্ষার চেয়ে অৰ্দ্ধশিক্ষাও ভাল । এমন কি তথাকথিত কু-শিক্ষাকেও আমি ডরাই না । সু-শিক্ষার বন্দোবস্ত করা আমাদের পক্ষে অর্থাভাবে সম্ভবপর নয় বলিয়া