পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার ইস্কুলমাষ্টার Wと> শিক্ষার ৫য়ার বন্ধ করিয়া দিবার প্রবৃত্তিই আমার বিবেচনায় সৰ্ব্বাপেক্ষ জঘন্য ও মারাত্মক। এই জন্যই আজ আমি বাংলার ভাবুকতাশীল, বুকের পাট ওয়াল সৎসাহসী স্বদেশ-সেবকগণকে ডাকিয়া বলিতে চাই, "যে যেখানে আছ প্রত্যেকেই নিজ নিজ এলাকার ভিতর একটা করিয়া भा-ि কুলেশন ইস্কুল কায়েম করিবার দায়িত্ব লও। পাঠশালাটা চোথা হউক কুছ পরোআ নাই । মাষ্টারগুলা অকৰ্ম্মণা তউক বয়ে গেল । চাই সৰ্ব্বত্র অশিক্ষার সঙ্গে লড়াই করিবার কেল্ল ; চাই সৰ্ব্বত্র অবিদ্যাকে ঢিট করিবার হাতিয়ার । চাই সৰ্ব্বত্র নিরক্ষরতাকে নিৰ্ব্বাসিত করিবার অগণিত ফৌজ । মনে রাখিও প্রাথমিক শিক্ষাকে দেশে সাৰ্ব্বজনীন করিয়া তুলিতে তক্টলে প্রথমেই আবশ্রাক চচবে হাজার হাজার মাকুলেশন পাশওয়ালা গুরুমশাই ।” সমাজের নান। ঘাটিতে এইরূপ লোকমত গড়িয়া তোল আমার মতে যুবক বাংলার ইস্কলমাষ্টারদের অন্যতম আধ্যাত্মিক কর্তব্য । “ভদ্রলোকের” দল বাড়িতেছে ম্যাকুলেশন ছাড়াইবার পর তরুণ-তরুণীদের জন্য কিরূপ ব্যবস্থা করা দরকার ? এই প্রশ্নটা এখনো দেশের জননায়কগণ তলাইয়া আলোচনা করিয়া দেখেন নাই । বিগত দশ বিশ বৎসরের ভিতর তথাকথিত ভদ্রলোকের সংখ্যা আমাদের দেশ বাড়িয়া গিয়াছে। তাহার একটা প্রধান কারণ ম্যাটিকুলেশন পাঠশালা, মার্টিকুলেশন-পরীক্ষা, আর ম্যাট্রিকুলেশনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ । এই ম্যাটিকুলেশন নামক যন্ত্রটা তথাকথিত “ছোটলোককে” ভদ্রের গোত্রে ঠেলিয়া তুলিয়াছে। রেলগাড়ী আর ষ্টামারের প্রভাবে ভারতে “জাতপাত” অনেকটা ভাঙিয়া গিয়াছে। একথা আজকাল আর কেহ অস্বীকার করেন না।