পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৭৬

ԳՀ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন আর্থিক অবস্তার চেয়ে নিকৃষ্ট । তবে ভারতের হস্কুল-মাষ্টারেরা “লিহিবং হেবজ” ব৷ বেচে থাকবার মতন তজ্ঞাও পান না । অন্তন্তি দেশে মাষ্টার অধ্যাপকদের দারিদ্রাট জীবন নিষ্পেষণ করিবার মতন গভীর ত লাভ করে ন| | ইস্কুল-শাসনে মাষ্টারের হাত বিদ্যালয়ের শাসন সঙ্গন্ধে এইবার কিছু বলিতে চাই । যে যে কারণে ইস্কুল-মাষ্টারের। সমাজের অতি সুণ্য জাবে পরিণত হইয়াছে, তাহার ভিতর ইস্কুল শাসনে তাত ন থাক। বোধ হয় সৰ্ব্বপ্রধান । দরিদ্র্য লজ্জার জিনিষ নয় । লজ্জার জিনিষ স্বাধীনতার অভাব । নরনারীর কৰ্ম্মকেন্দ্রে যখন ব্যক্তিত্বে স্ফুক্তি হইতে বঞ্চিত হয়, তখনই তাহদের মানুষোচিত সদগুণ লোপ পাইতে থাকে । আর একবার এই লোপের চিহ্ন সমাজে প্রকাশিত হইয় পড়িলে প্রতিবেশীরাও তাহাদিগকে নিকৃষ্ট শ্রেণীর লোক বিবেচন৷ করিতে শুরু করে নৈতিক অার আধ্যাত্মিক অধোগতি তাঙ্গারই পরের ধাপ । বাংলার ইস্কুলমাষ্টার সেই ধাপে আসিয়৷ ঠেকিয়াছে । এই ধাপের নরনারা কখনো কৰ্ম্মদক্ষত দেখাইতে পারে কি ? এই ধাপেও নরনারী কখনো চিন্তাশীল লোকের মতন পরিবারের আর সমাজের সু-কু বিশ্লেষণ করিতে সাহসী হইবে কি ? নিজ্জীব, মেরুদণ্ডহীন কাপুরুষ ছাড়। এই সকল লোকের পক্ষে আর কিছুরূপে চলাফের। কর। সুকঠিন । এত দুৰ্গতি সত্ত্বেও বাঙালী ইস্কুলমাষ্টারের। বিগত বিশ পচিশ বৎসর ধরিয়া পল্লীতে পল্লীতে নয়। বাংলা গড়িয়! তুলিতেছেন । যুবক বাংলার ইতিহাসে ইস্কুলমাষ্টারদের কৃতিত্ব অসীম। র্তাহাদের ভাবুকত ও সাহসিকতা বাঙালী সমাজকে গৌরবান্বিত করিয়া তুলিয়াছে ।