পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন এই আগ্নেয়গিরি তখন নিধুম, নিঝুম, স্পন্দনহীন, মরা। তাই দেখিতাম আর ভাবিতাম,— ফুজি তুই বুড়ী হয়েছিস, শুকিয়ে গেছে তোর যৌবন, তাই বুড়াবুড়ীদের তীর্থস্থান তুই, হায় নিষ্ফল তোর জীবন। তোর বুকের আগুন গেছে নিভে’,—নাকে মুখে নাই নিঃশ্বাস, রক্তের স্রোত নাই শিরায় শিরায়,–হৃদয়ে ছুটেন উচ্ছাস । দপদপায় না ধমনী তোর,—ফুসফুস গেছে পচে', মেঘ-চিকণ আগুনে ধোয় চুলছড়ানো গেছে ঘুচে । রক্তমাংসে প্রাণ বহিত যখন, পাগলি ছিলি তখন তুই, ( তোর ) জীবনভরা যৌবন আর যেীবনভরা জীবন ছিল তই । ( তোর ) জ্যাস্ত মুখের কথায় তখন আগুন ছুটত আকাশে, , আবেগে ভরা চোখের চাহনি প্রলয় তুলত বাতাসে । তোর ধড়-ফড়-করা হিয়ার পরশে টগবগ ফুটত ধরাতল, তোর ছোয়ায় আস্ত উন্মাদ জীবনের,—যৌবনের রক্ত-চলাচল । যৌবন-আন্দোলন বলিলে আমি যাহা বুঝি তাহা অতি সহজ-সরল। মামুলি কথা কপ চাইবার জন্য নরনারী আর লালায়িত নয়। পয়সাওয়ালা লোকগুলো একমাত্র পয়সার জোরে আর জননায়ক বা দেশনায়ক বিবেচিত হইতেছে না। মেন তেন প্রকারেণ নামজাদা হইয়া পড়িলেই কোনও ব্যক্তি সমাজে ইজ্জত পাইতেছে না। প্রতিমুহূৰ্ত্ত প্রত্যেক ব্যক্তিই খোল বাজারে তাহার ব্যক্তিত্ব যাচাই করাইয়া লইতেছে। দুচার বৎসর ধরিয়া কোনও ব্যক্তিবিশেষ দেশের উপর তাহার হামবড়ামির জুলুম চালাইবার সুযোগ পাইতেছে না। একমাত্র বয়সের খাতিরে অথবা পুরান কৃতিত্বের জোরে বর্তমানকে দাবিয়া রাখিবার চেষ্টা পদে পদে ব্যর্থ হইতেছে ।