পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bo o নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন লাইব্রেরী-প্রতিষ্ঠা ও আন্তর্জাতিক আন্দোলন পূৰ্ব্বে বলিয়াছি আত্মিক উন্নতির উপায় স্বরূপ বিদেশী পত্রিকাপাঠের আর বাংলা পত্রিক চালাইবাব ব্যবস্তার কথা । এইবার কৰ্ম্মক্ষেত্রের আর একটা কৰ্ত্তব্য হিসাবে সামান্য কিছু বলিব । বাংলার জনপদে জনপদে তান্তর্জাতিকতার কেন্দ্র গড়িয়া তোলা দরকার । ইস্লোরামেরিকার প্রায় সকল দেশেই আজকাল বহুসংখ্যক আন্তর্জাতিক সমিতি, পরিষং, কাব ইত্যাদির প্রতিষ্ঠান আছে । বাংলার ইস্কুলমাষ্টারেরা বিশ্বশক্তির সদ্ব্যবহার কবিবার মতলবে স্থানে স্থানে লাইব্রেরী, গ্রন্থালয়, বা পাঠাগার কায়েম করিতে থাকুন। এই সকল জীবনকেন্দ্রের সঙ্গে প্যারিস, জেনেহবা, নিউইয়ক, তোকিও হত্যাদি শহরের নানা আন্তজাতিক চিন্তা ও কম্মকেন্দের পত্র-ব্যবহার চলিতে পারিবে । তাহ হইলে বিদেশী কাগজ পত্র পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদেশী লোকজন আর আন্দোলনের সঙ্গে ভাব-বিনিময় আর কৰ্ম্ম-বিনিময়ের সুযোগও স্পষ্ট হইতে থাকিবে । বাংলাদেশের লাইব্রেরী-আন্দোলনে ইস্কুলমাষ্টারদের ঘর খুব বড় বিবেচনা করি । আর লাইব্রেরীগুলার সাহাধ্যে বিশ্বশক্তি অতি সহজে বঙ্গ-পল্লীর স্তরে স্তরে প্রভাব বিস্তার করিবে । ভারতীয় সমাজে আস্তজ্জাতিক তার বুদ্ধিতে আর জাতীয় চেতনাব প্রসারে সাহায্য করিবার জন্য নয়। বাংলার ইস্কুলমাষ্টারগণ প্রস্তুত হউন । ইস্কুল-গণ্ডীর সীমান। র্যাহার। যে ব্যবসার লোক তাহারা সেই ব্যবসার তারিফ করিতে অভ্যস্ত । তাহাদের বিবেচনায় সেই ব্যবসাটাই হইতেছে দুনিয়ার স্বষ্টিস্থিতির কেন্দ্র স্বরূপ । এই খেয়ালেরই এক নমুনা দেখিতে পাই