পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brミ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন যে, কট্টর পরিবারবাদী পরিবারের মাহাত্মা কীত্তন করিতেছেন, আর কট্টর পাঠশালাবাদী তাহার নিজ হাতিয়ারের মহত্ত্ব দেখাইতেছেন । শেষ পর্য্যন্ত কোনো উকিলের কপালে ডিগ্রী জারি হয়ত ঘটিবে না। কিন্তু জুরির বিচারে এইটুকু অন্ততঃ সব যাইবে যে,– মানবগঠনে পাঠশালার অদ্বৈতশক্তি সমাজ-বিজ্ঞান স্বীকার করিতে অসমর্থ। পুরুত ঠাকুরের। অথব৷ পৌরোহিত্য-বাদার। পরিবার ও পাঠশালা উভয়ের সঙ্গেই ধৰ্ম্মকম্মের, দেবদেবীর, মন্দির তীর্থের আসন দাবী করিতে অভ্যস্ত । এমন কি তাহদের বিবেচনায় ধৰ্ম্মশক্তি মানবচিত্তকে এবং মানবের ভবিষ্ণুৎকে যত বেশ নিয়ন্ত্রিত করে তত বেশ আর কোনো শক্তি করে না । এই ধরণের বাড়াবাড়ি চালাইয়। থাকেন রাষ্ট্রবাদীরাও । তাহার। বলিবেন—“পুলিশ, জেলখানা, আদালত, তহশিলদার ইত্যাদি রাষ্ট্রায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পরিবার, পাঠশালা, ধৰ্ম্মকম্মের কোনোটার চেয়েই কম নয় ।” আর বঁ৷হার। অর্থশাস্ত্রা তাহার। ত ধনদৌলতের প্রভাবে গোট সমাজকে প্রভাবান্বিত দেখিবে লই । অৰুচিন্ত চমৎকার – কথাটার মৰ্ম্ম কে ন বুঝে ? আজকালকার ফ্রয়েডপন্থী কামশাস্ত্রীরাও চরিত্রের উপর কামশক্তির প্রভাব সম্বন্ধে অতি মাত্রায় আস্তাবন । ধনের অদ্বৈতবাদ যে ধরণের বাড়াবাড়ি, ধৰ্ম্মের অদ্বৈতবাদও সেই ধরণেরই বাড়াবাড়ি । রাষ্ট্রের আর কামের বা অষ্ট কিছুর অদ্বৈতবাদও ঠিক তাহাই । কিন্তু ব্যক্তিত্বের বিকাশে, নর নারীর চরিত্র গঠনে, মানবাত্মার প্রকৃতি-পরিচালনায় আর সঙ্গে সঙ্গে সমাজের আকারপ্রকার গড়িয়া তুলিবার কাজে ধনেরও ইজ্জত আছে, ধৰ্ম্মেরও হজ্জং আছে, কামেরও হজ্জত আছে, রাষ্ট্রেরও ইজ্জত আছে। এগুলার কোনোটাই ফেলিয়া দেওয়া চলে না । কাজেই দাড়াইতেছে এই যে, ইস্কুলমাষ্টার নামক সমাজ-সেবকের