পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮৭

নয়া বাঙ্গলার ইস্কুলমাষ্টার br○ কৰ্ম্মগণ্ডী প্রচুর পরিমাণে সীমাবদ্ধ। বিদ্যা-প্রতিষ্ঠানের প্রভাব অস্বীকার করিবার জো নাই । কিন্তু সে সম্বন্ধে অতি-কিছু ধারণা পোষণ করা যুক্তিসঙ্গ ত নয়। ইস্কুলমাষ্টারের হাতে মানুষের ভবিষ্যৎকে, সমাজের ভাগকে, জাতীয় চরিত্রকে পুনগঠিত করিবার কলযন্ত্র যতগুলা আছে বা থাকিতে পারে তাই ছাড়াও বহুসংখ্যক কলয? নরনারীর আবহাওয়ায় দেখিতে পাওয় যায় । তার সেই সকল হাতিয়ার চালাইয়া দুনিয়া মেরামত করিবার বা ব্যক্তির তাত্মি রূপান্তরিত করিবার মিস্ত্রী হইতেছে অন্ত বহুশ্রেণীর সমাজ-সেবক । প্রত্যেক ব্যক্তির চিত্ত একসঙ্গে বহু সমাজ-শক্তি সামাজিক প্রতিষ্ঠান তার সমাজ সেবকের তবে টোল খাইতে খাইতে গড়িয় উঠিতেছে। এই গেল প্রথম কথ। । অপর কথা হইতেছে, নরনারার প্রত্যেক বয়সেই ميلي আত্মবিকাশের, চিত্ত গঠনের ব্যক্তি পুষ্টির সুযোগ জুটিতে পারে। কোনো নিদিষ্ট বসুসে প্রাসু কোনে ব্যক্তির জীবনী শক্তি ফুরাহয় আসে না । কৈশোরে ব৷ যৌবনে ব্যক্তির মগজে যে যে প্রবৃত্তি খেলিতেছে একমাত্র সেই সেই প্রবৃত্তিই তাহার কোষ্ঠী নিয়ন্তিত করে না। এই কারণেই প্রৌঢ় বসুসের অভিজ্ঞতা তার কম্মদক্ষতার সঙ্গে অনেক সময়েই ছাত্রাবস্তার পাশ-ফেলের যোগাযোগ দেখিতে পাওয়া যায় না । কৃতী বাঙালীর ব্যক্তিত্ব বিশ্লেষণ কথাটা বাংলাদেশের যে-কোনো প্রসিদ্ধ লোকের জীবন রত্তান্ত বিশ্লেষণ করিলেই অনেকটা স্পষ্ট হইয়া আসিবে । এইরূপ চিত্ত-বিশ্লেষণ বা ব্যক্তিত্ব-বিশ্লেষণের দিকে আমাদের সাহিত কতখানি অগ্রসর হইয়াছে জানি না। দু এক কথায় ইঙ্গিত করিয়া যাইতেছি মাত্র। বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, জগদীশচন্দ্র, বজেন্দ্রনাথ এই চারজন বাঙালী চার বিভিন্ন