পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুবক বাঙলার কৰ্ম্মক্ষেত্র (? অপর দিকে নতুন নতুন অজ্ঞাতকুলশীল লোকের মাথা খাড়া করিয়া দাড়াইতেছে। যখন তখন দেশের গলিঘোচে নয়া নয়া জাত, নয়া নয়। দল, নয়া নয়া স্বার্থ, নয়া নয়া আন্দোলন দেখা দিতেছে। সৰ্ব্বত্র নয়া নয় জ্যান্ত চিন্তা গজিতেছে আর তাজা তাজ প্রাণে-ভরা প্রতিষ্ঠান মূৰ্ত্তি পাইতেছে। ছোটগুলা বড় হইতেছে, বড়গুলা ছোট হইতেছে। হরদম ভাঙা-গড়ার উন্মাদনাই যৌবন-পূজার প্রাণ। আমার যুবা কাহারা ? ছুটাছুটি করছে সদা উদ্বেগেভর পরাণে তারা, শান্তি তার চাখেন। কখনো, জানেনা আরাম ক্লাস্তিহারা । উদাস নীরস জীবন তাদের, কৰ্ম্ম যখন সফল হয়, যেথা হতে পারে পরাজয় শুধু সেথাই তারা শক্তিময়। কঠোর কড়া ও অসাধ্য যাহা, যাহা বোধ হয় নাহি কখনো হবে, তাদেরই রসেতে মস্গুল-তারা, তাদেরই তারা বাছিয়ে লবে । পুরাণে এলাকা ছেড়ে দিয়ে তারা—কাড়িবে নতুন নতুন স্থান, কালিকার মাল ছোবেন! আজিকে, চাঙ্গা তাহাতে হয় না প্রাণ । অশান্তি প্রাণ, পাগলামি প্রাণ, বিফলতা-পরাজয় প্রাণ— আবেগ যাদের ফুরায় না হিয়ায়, এই দুনিয়ায় তারাই জোআন । নবীন ভারভের জীবন-ম্পন্দন আমরা খবর রাখি বা না রাখি আমাদের চোখের সম্মুখে একটা নবীন ভারত গড়িয়া উঠিতেছে। এই ভারতের নর-নারী, এই ভারতের শ্রেণীভেদ, এই ভারতের উচ্ছ,াস-উল্লাস “সেকেলে” ভারতের,—এমন কি পঞ্চাশ বৎসর পূৰ্ব্বেকার ভারতের নর-নারী, শ্রেণীভেদ ও উল্লাসউচ্ছাস হইতে স্বতন্ত্র। এমন একটা ভারত গজিয়া উঠিয়াছে বঙ্কিম-মধু