পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ام۱ سb থাকিতে পারে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা, টক্কর-প্রিয়তা, ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে রেষারেষি দলে দলে কামড়াকামডি, শ্রেণী-বিবাদ, জাতি-লড়াই ইত্যাদি শক্তি ও সমাজ-কেন্দ্র গড়িয়া তুলে । মানুষ কখনও বা অন্যান্য মানুষকে দেখিয়। অনুকরণ করিতেছে । নকল করিবার প্রবৃত্তি মানবের ব্যক্তিত্বকে ও আর সমাজের ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রিত করে কম নয় । অনুকরণটা সব সময়েই সজাগ না হইতেও পারে । কখনও কখনও অজ্ঞাতসারেই প্রতিবেশীর কৰ্ম্মকৌশল নকল করা মানবচিত্তের পক্ষে সম্ভব । আবার অপর দিকে অনুকরণই মানবজীবনের একমাত্র বিকোশোপায় নয়। মানুষ কিছু না দেখিয়া-শুনিয়াও নিজেই কিছু ন! কিছু ভাঙিতেছে গড়িতেছে আবার ভাঙিতেছে আবার গড়িতেছে । এইরূপ স্বাধীন স্বষ্টিশক্তিও মানুষের সমাজ গড়িতে সমর্থ । এই সকল শক্তির মতন আর একটা শক্তি হইতেছে শিক্ষাপ্রদান । লোকের দলবদ্ধ হইয়া কতকগুল লোককে কোনে নিৰ্দ্দিষ্ট মতলব অনুসারে কোনে নির্দিষ্ট পথে চালাইতে লাগিয় সায় । তাতার জন্য জগতে দেখ দেয় গুরুগৃহ, ইস্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান । কিন্তু কখনই কোনো একট। মাত্র শক্তির জোরে সমাজের জীবন, ব্যক্তির আত্মা,দলবদ্ধ চিত্ত বিকাশ লাভ করিতেছে এরূপ বিশ্বাস করিতে পারি না । সমাজবনিয়াদের বহুত্ব সম্বন্ধে টল্টন্তে জ্ঞান না থাকিলে ইস্কুলমাষ্টারেরা অতিদান্তিক হইয়া পড়িতে পারেন । সেই দাস্তিকতা হইতে আত্মরক্ষা করা প্রত্যেক মাষ্টার-অধ্যাপকের কত্তব্য । সহস্রমুখী শক্তি-যোগ ব্যক্তিত্ব বিকাশের কাজে,সমাজ-গঠনের কারবারে ইস্কুলমাষ্টারের দায়িত্ব ও কৃতিত্ব একদম অস্বীকার করা হইতেছে না। কিন্তু স্বদেশ-সেবক এবং