পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার ইস্কুলমাষ্টার レア" সমাজবিজ্ঞানের সেবক হিসাবে সৰ্ব্বদাই আমাদের মনে রাখা আবশ্যক যে, বিগত বিশ পচিশ ত্রশ বৎসরের ভিতর বাংলাদেশে আর ভারতে অনেক নতুন আধ্যাত্মিক শক্তির স্মৃষ্টি হইয়াছে। সেই সকল শক্তি নানাবিধ সামাজিক, রাষ্ট্রক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আর আন্দোলনের মূৰ্ত্তি গ্রহণ করিয়াছে। সেই সমুদয়ের ধাক্কা কখন কোন ছোকরার, কোন যুবার, কোন বুড়ার ঘাড়ে কপালে হাতপায়ে আসিয়া কতটা লাগিতেছে তাহার ঠিক নাই। এই সকল ধাক্কার কিন্মং অনেক ক্ষেত্রেই লাখ লাখ টাকা । তাহারই ফলে আশুতোষ-চিত্তরঞ্জনের বকের পাট আর গলার আওয়াজ । শিক্ষা-দর্শন সম্বন্ধে এই ধরণের সমাজ-বিজ্ঞানই আমার প্রথম স্বীকার্য্য। আমি বহুত্বের উপাসক, একবগ্গ অদ্বৈতবাদের প্রচার করা আমার হাড়মাসে অসম্ভব। দেশের ভিতর অসংখ্য বিভিন্ন রংয়ের প্রতিষ্ঠান কায়েম তইলেক্ট সমাজ ঐশ্বৰ্য্যশালা হইবে। ক্লাব চাই, সমিতি চাই, মজুরসজঘ চাই, বিজ্ঞান-পরিষং চাই, সঙ্গীতের আখড়| চাই। নাচগানের বারোয়ারাতল চাই, সিনেম চাই, গল্পগুজবের আডড চাই। ল্যাবরেটারী চাই, ওয়ার্কশপ চাই, ফ্যাক্টরি চাই। বক্তৃত চাই, নৈতিক আন্দোলম চাই । চাই খবরের কাগজ, চাই বিজ্ঞাপন-পত্রিকা, চাই প্রদর্শনী, চাই মেল। এই ধরণের আরও লাখ লাখ জিনিষ চাই । এই সকল প্রতিষ্ঠান ও আন্দোলনের বৈচিত্র্য যতই বাড়িতে থাকিবে ততই আমাদের ব্যক্তিত্বগুলা হৃষ্ট পুষ্ট বলিষ্ঠ হইবার সুযোগ পা তে থাকিবে। জীবন-বিকাশের শক্তি ও সঙ্গায় নানাবিধ । এই সহস্রমুখী শক্তিযোগের যে যে-দিকে পারে সে সেইদিকে সাধনা করিতেছে । যুবক বাংলায় জীবনের জোআর সুরু হইয়াছে। ইতি মধ্যেই যৌবন-শক্তি বাঙালী সমাজকে বহুসংখ্যক জ্যান্ত মানুষ উপহার দিতে পারিয়াছে। দিকে দিকে বাঙল দেশ বাড়িতেছে ; দিগ্বিজয়ী বাঙালীরা "বৃহত্তর বঙ্গ”, “বৃহত্তর