পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মগজ মেরামতের হাতিয়ার సిలి হাবুডুবু খাইতে হয় সেই ভয়ে যে জিনিষট। বুঝি,—যেমন কোদাল’ ‘কোদাল, বটে—তারি আলোচনা করিতেছি । আজকে আমার পরিভাষা দেশোন্নতি । জিনিষটি অতি সোজা, এ লইয়া গোলমালের সম্ভাবনা নাই । কিন্তু সম্প্রতি আমি চারটি জিনিষের কথা বলিব । দেশোন্নতির চার পুট বা খুটাচতুষ্টয় । যার শাস্ত্র জানেন তার বলিবেন “সত্য-চতুষ্টয়ং” । সম্প্রতি দেশোন্নতি নামক সত্যের চার খুটা ফেলিতেছি । যদি বলেন,– পাচ দশ খুট। নয় কেন ? আমি বলিব,— আলবং পাচ লাখ, দশ লাখ খুটা আছে, থাকিতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি শুধু চার খুটার কথা বলিব মাত্র । প্রথম নম্বর বলিতে চাই- দেশোন্নতি করিবার জন্য যত পথ দরকার সেই পথগুলোকে একেবারে নতুন আবিষ্কার করিতে হইবে এমন কিছু কথা নাই । এই ১৯২৭ সনের বাংলা দেশে এমন কতকগুলি জিনিষ আছে যার সদ্ব্যবহার করিতে পারিলে এখনই দেশকে আমরা বড় করিয়া তুলিতে পারিব অর্থাং আজকে দেশে যে সব কৰ্ম্মকেন্দ্র আছে তার সদ্ব্যবহার আমরা করিতেছি না। করিলে যে বস্তুনিষ্ঠ দেশোন্নতির কথা বলিতেছি তার অনেক বস্তু পাওয়৷ যাইত। আগেই বলিয়। রাখি তাতে স্বরাজ স্বাধীনতা আসিবে কিনা জানি না। কিন্তু আহাম্মুকগুলোকে মানুষ করা, যারা খাইতে পাইতেছে না তাদের মুখে অন্ন দেওয়া, যারা মরিয়া যাইতেছে তাদিগকে চাঙ্গা করিয়া তোলা এই রকম ধরণের দেশোন্নতি সাধন করিবার অনেক প্রণালী, অনেক কেন্দ্র, অনেক প্রতিষ্ঠান ১৯২৭ সনের বাংলাদেশে আছে। কিন্তু গত বিশ বাইশ বৎসরের ভিতর সেদিকে আমরা বড় বেশী মনোযোগ দিই নাই ।