পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ማህ* নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন খতের বিরুদ্ধে ইয়োরোপীয়ানরা বিদ্রোহ করে। ফরাসী বিপ্লব এই বিদ্রোহের এক বড় খুটা ( ১৭৮৯-৯৩ ) । ফ্রান্সের দেখাদেখি জাৰ্ম্মাশরা উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ( ১৮০৭-১২ ) দাসখত তুলিয়া দেয়। ষ্টাইন আর হার্ডেনব্যর্গ এই সংস্কারের জন্য বিখ্যাত। গোটা উনবিংশ শতাব্দী ধরিয়া রুশিয়ায় দাস খতের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলিয়াছে তুমুল ভাবে । বোলশেহ্যিক বিপ্লবের দিগ বিজয়ের সঙ্গে সঙ্গে “স্তফ”-প্রথার শেষ চিকুও রুশ মুল্লুক হইতে উড়িয়া গিয়াছে ( ১৯১৮-১৯) । বন্ধান অঞ্চলের কোনো কোনো জনপদে,—রুমেনিয়ায়, জুগোস্লাভিয়ায়, আজও “স্তফ”-প্রথাকে সমুলে উৎপাটন করিবার ব্যবস্থা চলিতেছে । আইনতঃ অবগু ভূমি-গোলামী আর নাই, অষ্ট্ৰীয়ান সাম্রাজ্যের আমলেই সংস্কার সাধিত হইয়াছিল । কিন্তু প্রকৃত কাৰ্য্যক্ষেত্রে মহালড়াইয়ের পরও অনেক গলৎ রহিয়া গিয়াছে। ইয়োরোপে থাকিবার সময় নব-গঠিত দেশসমূহের স্বদেশ-সেবকদেরকে আইনের সাহায্যে জমিজমার জঞ্জালগুলা ঝাড়িয়া পরিষ্কার করিবার কাজে মোতায়েন দেখিয়া আসিয়াছি। ভারতে ভূমি-গোলামী আজও কোথায় কোথায় আছে জানি না। যদি কোথাও না থাকে বুঝিতে হইবে যে, ব্যক্তি হিসাবে ভারতীয় চাষীরা ইয়োরোপের সকল দেশের চাষীর মতনই স্বাধীন জীব। আবার পূৰ্ব্বে বা পশ্চিমে সাম্য বা সাদৃপ্ত। স্বাধীনতা—(১) আইনগত (২) রাষ্ট্রগত (৩) অর্থগত কিন্তু এই স্বাধীনতায় গুড় মাখানো নাই । “আইন”-গত স্বাধীনতার জোরে চাষীরা কোনো লোকের গোলাম আর থাকিল না। কোনো জমির ভাগ্যের সঙ্গে কোনো চাষীর ভাগ্য বাধাও রহিল না। এই স্বাধীনতা