নরওয়ে ভ্রমণ আজ প্রান্তে সাগর ছাড়িয়’ যে ফিয়ডে আসিয়া পড়িলাম, তাহার শোভা-সৌন্দর্য সম্পূর্ণ বিভিন্নরূপ। সার্ণ হওয়া দূরে থাকুক,—স্থানে স্থানে ইহার প্রশস্ততা এত অধিক যে, কোথাও আর কূলের সন্ধান পাওয়া যায় না; মধ্যে মধ্যে ছোট বড় অসংখ্য দ্বীপসমূহ সংস্থিত। এ স্থানটায় কর্ণধার, নিজ কর্ম্মকুশলতার পরিচয় দিতে দিতে, জাহাজখানাকে নিপিল লইয়া চলিয়াছেন। তিনি যখন প্রথিতযশ, তখন আমাদের মিথ্যা ভয়-ভাবনা ত আর ভাল দেখায় না। তখন বুঝিলাম, হ ক,. “ফিয়’——পারে। কি মাহাত্ম নির্ভরতার! বুঝিলাম, ভক্তজন কেন দুর্দিনে-“হালে যখন আছেন হরি, তোর কিবা ফাগুন কিবা আষাঢ়” বলিয়া মনকে নির্ভীক নির্বিকার করিয়া রাখিতে সমর্থ হন। যখন এই ফিয়ডের শেষ-সীমায় আসিয়া পৌছিলাম, তখন বেলা দশটা। এইবার নোঙ্গর করা হইল। আজকার বিজ্ঞাপনীতে লেখা আছে যে, ‘চারিহাজার ফিট উচ্চ এক গ্নেসিয়ারের মধ্যে যাইতে হইবে, যাত্রিগণ যেন যথেষ্ট গরম কাপড় সঙ্গে লয়েন।
পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
১৬
নরওয়ে ভ্রমণ