পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
নরওয়ে ভ্রমণ
২১

নরওয়ে ভ্রমণ। ব? কেন? দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী লোককে বাধ্য হইয়া বিনীত ভাব ধারণ করিতে হইলেই, আর তার প্রতিপত্তি খাটে না; কাজেই সেস্থানে বসবাসও তার পোষায় না! .. তার উপর আবার যোগবল ত আছেই। ‘৪ালহাম ভেন’ আজিকার তার এই তেক্তশূন্য নিরীহভার দেখিয়া বস্তুতঃই সেই স্যের সৃ— পরম-সূনের মহতী-শক্তির কিঞ্চিৎ আভাস পাইয়া অন্তরে অপূর্বর আনন্দ অনুভব করিতে লাগিলাম। এমন সময় আচম্বিতে চাহিয়া দেখি, গায়ের কম্বলখানায় সত্য সত্যই তুলসিম তুষার বৃষ্টি হইতেছে। তাই!!- দেশের কি এই নিয়ম, যে ল তরলতাই নষ্ট করিয়া দিবে?—অন্তরে বাহিরে কোথাও ধারা বহিতে দিবে না?—সব জমাট। এবার বুঝি শোণিত প্রবাহও, এদের দেখাদেখি “যস্মিন দেশে যদাচার” বলিয়া, জমিয়া বসে;—কিন্তু সে পায়ে পড়িতে একান্তই নারাজ। কোনরূপে এখন গম্যস্থানে পৌছিতে পারিলে হয়! কিন্তু সে মস্থান আর কতদূর? এর চেয়েও সুন্দর কিছু আছে না কি? যখন পথ-চলিতেই এত আনন্দ, তখন যাহার উদ্দেশে এ পথ চলা, না-জানি তাহা কতই সুন্দর সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়িল—“কে হে তুমি সুন্দর, অতি সুন্দর, অতি সুন্দর!”—তিনি যে সৌন্দর্য্যের খনি!-তার ভাণ্ডার কি