পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
৬৪
নরওয়ে ভ্রমণ
৬৪

১৬ নরওয়ে ভ্রমণ। আচম্বিতে দৃষ্টিকে চোখের মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত পাইলাম। প্রাণমন তৃপ্ত হইল। কাছে গিয়া যত অগ্রসর হইতেছি, ততই নগ্নমূর্ত্তি সকল দেখিয়া বলিতে ইচ্ছা হইল— | “তুমি চির-বাক্যহীনা তব মহাবাণী! পাষাণে আবদ্ধ ওগো সুন্দরী পাষাণী।” দুই একটি নয়, শত শত মূর্ত্তি! যেন অফুরন্ত। এখানে সবই সুন্দর—যেন সৌন্দর্য্যের মেলা বসিয়াছে। পুরুষ আকৃতি ফেম রমণীর উদ্দেশ্যে বলিতেছেন- “ওগো ‘ ইউনিভার্সিটি রূপসি! কি তুমি রূপের বড়াই কর? চাহিয়া দেখ আমার দিকে, নয়ন ফিরাইতে পারিবে না।” আর রমণী অমনি উত্তর করিতেছে “কঠিন তোমরা—পাষাণ তোমরা! কি বুঝিবে তমুর তনিমা! দেখ দেখ এই পাষাণ ভেদ করিয়া আমাদের সর্বাঙ্গের লাবণ্যচ্ছটা কেমন উছলিয়া পড়িতেছে? অথবা তোমরা যে চক্ষুহীন। বুঝিবেই বা কেমন করিয়া?” আমরা সৌন্দর্য্যের স্বরূপ জানি না, কাজেই যাচাই করিয়া, এ বিবাদের