এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরকাসুর [ প্ৰথম অঙ্ক তার পায়ের দিকে। বরুণ তখন সেখানে উপস্থিত ছিল, সে বুঝতে পেরে তার মস্তকে বজাঘাতের মত তার কথার উত্তর করে ; তার প্রত্যুত্তরে সে স্পষ্ট বলে,-থাক, এই মাথায় একদিন তোমায় ছত্র ধারাবো । তারপর সে যায় বিশ্বকৰ্ম্মার কুটীরে,-বিশ্বকৰ্ম্ম তখন স্থানান্তরে। এই অবসরে তার কন্যা চতুর্দশীর সঙ্গে পুত্রের বিবাহের সম্বন্ধ করে। অবশ্য চতুৰ্দশী তার পুত্রের অনুরাগিনী, সে বিবাহে সম্মত ছিল ; কিন্তু বিশ্বকৰ্ম্মা কোন প্রকারে এই সংবাদ পেয়ে ছুটে এসে পৃথিবীকে কটু ভৎসনা ক’রে কুটীর হ’তে বের ক’রে দেয়। দারুণ অপমানে তখন তার আর বাক্যক্ষুৰ্ত্তি হয় নাই, শুধু অগ্নিস্ফুলিঙ্গময় একটা তীব্ৰ কটাক্ষ ক’রে গেছে। বিশ্বাবসু। জল উত্তপ্ত হ’য়ে কখনও অগ্নিকাণ্ড আনতে পারে না। আপনি ইতস্ততঃ কবৃছেন কিসের ? ইন্দ্ৰ। এইবার সে এখানকার আশায় জলাঞ্জলি দিয়ে, প্ৰাগজ্যোতিপুরে দৈত্য-সাম্রাজ্যের অভিমুখে ছুটেছে। দৈত্য-সিংহাসন এখন শূন্য ; রাজ্যেও বিশৃঙ্খল। আমার অনুমান, সেখানে আশ্রয় পেলেও পেতে পারে। বাসুকি । তাতেই বা হয়েছে কি ? ইন্দ্ৰ। তার জন্য আপনার সকল রকমে প্ৰস্তুত তো ? ? কুবের । সর্বতোভাবে । যখন তাকে এরূপভাবে জাতিগত অধিকার দেওয়া হবে না বলা গেছে, তখন কি দৈত্যের ভয়ে তার সে অন্যায় আবদার রাখতে হবে ? ইন্দ্ৰ। গন্ধৰ্বরাজ ! বিশ্বাবসু । তাতে অমরত্ব যায়,-যাবে। ইন্দ্র। আর আমার কথা নাই। আসুন-বিশ্রাম করবেন। [ সকলের প্রস্থান । ( r )