পাতা:নরকাসুর.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরকাসুর [ তৃতীয় অঙ্ক গেছে শিশিরায়ণ ! বিষ ব্ৰহ্মরন্ধে মিশেছে, এখন আর ঔষধ-চিন্তা বৃথা ; এখনকার একমাত্ৰ ঔষধ, যা করেন জগদীশ্বর ! শিশিরায়ণ। ও—তা হ’লে দেখছি জগদীশ্বর রাজমহিষীর ভাগ্যে বৈধব্যই স্থির করেছেন ; আর তিনিও তাতেই প্ৰস্তুত । স্বর্গ। কে আছিস্ ? না-থাক, আর কাজ নাই তা ক’রে- ভাইয়ের মতন দেখে আসছি। যাও শিশিরায়ণ! সম্মুখ হ’তে, এখনই কি কবুতে কি ক’রে বসবো । শিশিরায়ণ। যাই, কিন্তু বুঝতে পাবুলে না। রাজকুমারি ! এসেছিলাম ঠিক ভাইয়ের মত তোমারই জন্য-তোমারই ঐ সিথির সিন্দুরটার মায়ায়,-ভবিষাতে ভগ্নীর মত অভিমান ক’রে কথায় কথায় বিধাবে ব'লে। বড়ই অবজ্ঞা করলে রাণি ! আর আমার কোন দোষ নাই। প্ৰস্তুত থাক সে দিনের জন্য-কল্পনা কর বৈধব্যের বিকট মূৰ্ত্তি ! [ প্ৰস্থান } স্বৰ্গ । এ বালির বঁধি নয় শিশিরায়ণ, যে জলের ঢেউয়ে ছড়িয়ে যাবে। আমার বৈধব্য তোমাদের রক্তচক্ষে হবে না ; যদি হয়, একদিন তা হবে বিশ্বকৰ্ম্মার উদাস চাহিনীতে-দেবমাতার উষ্ণ দীর্ঘশ্বাসেষোড়শ সহস্ৰ কুমারীর অবিরাম অশ্রদ্ধারায় । তীর্থ পুনঃ প্ৰবেশ করিল তীর্থ। যেতে পাবুলুম না রে, যেতে পারুলুম না। স্বৰ্গ ৷ তীৰ্থ! তীৰ্থ! তুমি এসেছ ! আমি তোমার পায়ে ধবৃছি— [ স্বৰ্গ সত্যই তীর্থের পদধারণ করিলেন ] তীৰ্থ! ওঠ মা ওঠ ; পায়ে ধৰ্ব্বতে হবে না তোকে । অপমান কবু-তিরস্কার করা-খুন করু-তীর্থ বোধ হয় এ জীবনে ( ) • r )