পাতা:নরকাসুর.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ গর্ভাস্ক ] নরকাসুর প্ৰচেতা বরুণের নয়ন-রঞ্জন বিচিত্ৰিত ছত্র ; আর ঐ দেখ জননি । শিল্পীপ্ৰধান বিশ্বকৰ্ম্ম, আজ তোমার জন্য অপূর্ব পুরী নিৰ্ম্মাণে নিযুক্ত । পৃথিবী । পুত্ৰ ! পুত্ৰ ! সার্থক তোমার জন্ম ! পবিত্র আমার গৰ্ভ ! বিশ্বকৰ্ম্মা ! কোথায় তোমার সে দেবত্বের গৰ্ব্ব ? মর। এইবার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে। তারপর, এরা কতদূরে পুত্ৰ ? নরক । কারা ? পৃথিবী । দেবমাতা অদিতি, প্ৰচেতা বরুণ ? নরক । এই ছত্র আর কুণ্ডল নিয়েই আমি তাদের মুক্তি দিয়ে। এসেছি মা ! পৃথিবী ! মুক্তি দিয়ে এসেছ ? ছত্র, কুণ্ডল নিয়েই সন্তুষ্ট হ’য়ে তাদের মুক্তি দিয়ে এসেছ-আমার বিনা সম্মতিতে ? সে আবার কি ? নরক । হা, মা ! বুঝলাম, এই দণ্ডই তাদের পক্ষে যথেষ্ট পৃথিবী। যথেষ্ট ! কিসে বুঝলে পুত্ৰ ? নরক । দেবমাতার প্রস্তর-মূৰ্ত্তিবৎ নিশ্চল দণ্ডায়মানে, বিরুণের নির্বাক আজ্ঞাপালনে, আর লোক পিতা কশ্যপের অসাধারণ আত্মত্যাগে । পৃথিবী । গ’লে গেলে ? তা যাবে বৈ কি ? আমার সে দাড়ানোর। ভঙ্গী তো দেখা নাই ! এ প্ৰাণের সে ভীষুণ নীরবতা আজ তো তোমার অনুভবে আসবে না ! পুত্রের জন্য মায়ের আত্মোৎসর্গ, সে তো আর ব’লে বোঝাবার নয় । নরক । দীর্ঘশ্বাস ফেলো না মা ! জলভরা রক্তাভ-চক্ষে আমন, মুহুমুহু: আমার মুখপানে চেও না-আমায় ঘূণা ক’রো না। আমি তোমার জন্য জীবন দিতে ছুটেছি,-তোমার ঐ বিষাদ ক্লিষ্ট শীর্ণ মুখে হাসির রেখাটী দেখবার জন্য কান্নার সমুদ্রে ডুবেছি,-তোমাকেই অগ্রভাগ দেবার জন্য বিশ্ব জুড়ে যজ্ঞানল জেলেছি। ( २२5 )